Russia-Ukraine War

ইউক্রেনে রুশ টি-৯০ ট্যাঙ্কের পরিণতি শিক্ষা দিল সেনাকে, ‘জ্যাক ইন দ্য বক্স’ এড়াতে এপিএস

সাম্প্রতিক রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে বার বারই দেখা গিয়েছে রুশ ট্যাঙ্কের উড়ে যাওয়ার ছবি। পশ্চিমি দুনিয়ার হিসাব বলছে, তিন বছরের যুদ্ধে অন্তত দেড় হাজার ট্যাঙ্ক হারিয়েছে রাশিয়া।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৯:০৭
Share:
Lessons from Russia-Ukraine war makes Indian Army seek Active Protection System for the T-90 tanks

ছবি: সংগৃহীত।

ইউক্রেনের যুদ্ধে রুশ ট্যাঙ্কের ‘পরিণতি’ দেখে এ বার নতুন ভাবনা ভারতীয় সেনার। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ভারতীয় সেনা আর্মার্ড ডিভিশনগুলির ‘মেরুদণ্ড’ হিসাবে পরিচিত রুশ টি-৯০ ট্যাঙ্কের আক্রমণ ও রক্ষণগত উৎকর্ষ বাড়াতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

ওই সূত্র জানাচ্ছে, প্রযুক্তিগত আধুনিকীকরণ কর্মসূচিতে ‘সক্রিয় সুরক্ষা ব্যবস্থা’ (এপিএস) দিয়ে সজ্জিত করা হবে টি-৯০ ট্যাঙ্কগুলিকে। নতুন সমরাস্ত্র বসানোর পাশাপাশি বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া হবে ট্যাঙ্কের সুরক্ষায়। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে বার বারই দেখা গিয়েছে বিস্ফোরণের অভিঘাতে রুশ ট্যাঙ্কের উড়ে যাওয়ার ছবি। সামরিক পরিভাষায় বলতে গেলে ‘জ্যাক ইন দ্য বক্স এফেক্ট’-এর ফলেই এমনটা হয়েছে।

টি-৯০ ট্যাঙ্কে বসানো ১২৫ মিলিমিটারের ‘স্মুদবোর’ কামানের জন্য মজুত রাখা হয় কমবেশি ৪০টি গোলা। ইউক্রেন সেনার ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে সেই গোলার স্তূপে বিস্ফোরণ ঘটছে প্রায়শই। আর তার অভিঘাতে কার্যত শূন্যে উঠে যাচ্ছে ট্যাঙ্ক। আমেরিকার তৈরি ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র (এটিজিএম) জ্যাভেলিনের পাশাপাশি ব্রিটেনের ‘ট্যাঙ্ক-ব্রাস্টার্স’ (পোশাকি নাম, ‘নেক্সট জেনারেশন লাইট অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক ওয়েপন’ বা এনএলএডব্লিউ) রুশ ট্যাঙ্ক ধ্বংসে ইউক্রেন সেনার অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠেছে।

Advertisement

এই আবহে ট্যাঙ্কের মজুত গোলাকে বিকল্প নিরাপদ স্থানে রাখার জন্য ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির মাধ্যমে শুরু হচ্ছে আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়া। এ ক্ষেত্রে বিদেশি বিশেষজ্ঞ সংস্থারও সহায়তা নেওয়া হবে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর। ভারতীয় সেনার হাতে বর্তমানে ১২৫০টি টি-৯০ এস/এসকে ট্যাঙ্ক রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৩৫০টিকে এপিএস দ্বারা সজ্জিত করা হবে। প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে রুশ ট্যাঙ্কের ধারাবাহিক ‘জ্যাক ইন দ্য বক্স এফেক্ট’ আদতে নকশার ত্রুটি বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের মতে, ট্যাঙ্কের অন্দরে এতগুলি গোলা রাখার ব্যবস্থা নিরাপদ নয়। ট্যাঙ্কে আঘাত লাগার মুহূর্তের মধ্যে বেরিয়ে না এলে চালক, পর্যবেক্ষক এবং গোলন্দাজের মৃত্যু অবধারিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement