প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
দুই পুত্র এবং কন্যাকে নিয়ে বাড়ির পিছনের দিকে থাকা টিউবওয়েলে হাত-পা ধুচ্ছিলেন এক হোমগার্ড জওয়ান। তাঁরা টেরও পাননি যে, টিউবওয়েলের গা ঘেঁষা আমগাছ থেকে কেউ লোলুপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে। আচমকাই ওই জওয়ানের ঘাড়ের উপর লাফিয়ে পড়ে একটি চিতাবাঘ। তিনি মাটিতে আছড়ে পড়েন। চিতাবাঘটিকে হামলা করতে দেখেই জওয়ানের সন্তানরা চিতাবাঘের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, জওয়ানের এক সন্তান চিতাবাঘের পা টেনে ধরে। অন্য জন লেজ টেনে ধরেছিল। আর তৃতীয় জন চিতাবাঘের কবল থেকে বাবাকে মুক্ত করার জন্য লড়াই চালাচ্ছিল। ১০ মিনিট ধস্তাধস্তি চলে। তত ক্ষণে চিৎকার চেঁচেমেচি শুনে গ্রামবাসীরা ছুটে আসেন। তার পরই সকলে মিলে চিতাবাঘটিকে ঘিরে ধরে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বিজনৌরের আমননগর গ্রামে।
বিজনৌরের বিভাগীয় বনাধিকারিক (ডিএফও) জ্ঞান সিংহ জানান, বাঘের হামলায় আহত হয়েছেন হোমগার্ড জওয়ান সুরেন্দ্র। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ির পিছনে টিউবওয়েলে হাত-পা ধুতে গিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিল তাঁর তিন সন্তান দিশা, রিশু এবং দীপাংশু। আমগাছের উপর বসে থাকা চিতাবাঘটিকে খেয়াল করেননি তাঁরা। আচমকাই চিতাবাঘটি সুরেন্দ্রর ঘাড়ের উপর লাফিয়ে পড়ে। রেঞ্জার রজনীশ তোমর জানিয়েছেন, চিতাবাঘটির বয়স তিন বছর। সেটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।