Opposition Alliance

প্রতিবাদের মঞ্চই যৌথ সভা ‘ইন্ডিয়া’র

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সংসদ থেকে সাসপেন্ড হওয়ার প্রতিবাদে যখন বিরোধী মঞ্চ ধর্নায়, তখন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় রাজ্যসভার দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গেকে চিঠি লিখলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৫:৩৭
Share:

যন্তর মন্তরে প্রতিবাদসভা করলেন বিরোধী মঞ্চের নেতারা। ছবি: পিটিআই।

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হোটেলের ঘর থেকে বেরিয়ে আজ প্রথম রাস্তায় নামল বিরোধী মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’। আড়াই মাস আগে ভোপালে একটি যৌথ জনসভার কথা হলেও তা কার্যকর হয়নি কংগ্রেস নেতা কমল নাথের আপত্তিতে। এমনটা নয় যে আজই সেটি করার কোনও পূর্ব পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সংসদে গণ সাসপেন্ড হওয়ার ঘটনায় যন্তর মন্তরে এই আপৎকালীন প্রতিবাদসভা করলেন বিরোধী মঞ্চের নেতারা।

Advertisement

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সংসদ থেকে সাসপেন্ড হওয়ার প্রতিবাদে যখন বিরোধী মঞ্চ ধর্নায়, তখন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় রাজ্যসভার দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গেকে চিঠি লিখলেন। তাঁর বক্তব্য, ‘বিরোধীদের সংসদে হাঙ্গামা করা দুর্ভাগ্যজনক এবং জনস্বার্থবিরোধী।’ তাঁর কথায়, ‘বার বার ডাকা সত্ত্বেও খড়্গের তাঁর সঙ্গে দেখা না করাটা সংসদীয় ঐতিহ্যের সঙ্গে খাপ খায় না।’

আজ অবশ্য যন্তর মন্তরে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বা লোকসভার স্পিকার নয়, বিরোধী নেতারা সরাসরি নিশানা করলেন মোদী সরকারকেই। কংগ্রেস এবং বাম পতাকাই দেখা গেল সব চেয়ে বেশি। সূত্রের খবর, ইন্ডিয়া-র পক্ষ থেকে কংগ্রেস এবং আপ-কেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল লোক জোগাড় করার জন্য। তবে আপ-এর অনেক বিধায়ক আজ হাজির থাকলেও খুব বেশি সমর্থক কর্মীকে দেখা যায়নি। ছিল না পতাকাও।

Advertisement

কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগে মঞ্চ থেকেই কংগ্রেস নেতারা দাবি করেন, দিল্লির পুলিশ স্থানে স্থানে মানুষকে সভায় আসতে বাধা দিচ্ছেন। তবে কিছু পরে রাহুল গান্ধীর প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য ভিড় অনেকটাই বেড়ে যায়। কংগ্রেসের রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিরোধীমুক্ত সংসদ গঠন করেছেন। যে দেশে বিরোধীদের জায়গা নেই, প্রশ্ন করার অনুমতি নেই সেই দেশের সংসদের তো এমন অবস্থাই হবে। সংবিধানের উপর পরিকল্পিত হামলা করছে বিজেপি সরকার। জেএমএম-এর মহুয়া মাঝির কথায়, “যে ভাবে বিরোধী সাংসদদের বের করে দেওয়া হল তা গোটা বিশ্বে বেনজির। আমরা গোটা দেশেই এর প্রতিবাদ করছি।” তৃণমূলের মৌসম নুর বলেন, “বিজেপি চায় গণতন্ত্র মুক্ত রাষ্ট্র গড়তে। আর আমরা চাইছি বিজেপি মুক্ত দেশ।” সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি বিষ্ণু পুরাণের উল্লেখ করেছেন আজ তাঁর বক্তৃতায়। তাঁর মন্তব্য, “প্রধানমন্ত্রী বলছেন দেশে অমৃতকাল চলছে। বিষ্ণু পুরাণে বলে, সমুদ্রমন্থনে অমৃতের কলস ভেসে উঠেছিল। সেটি প্রথমে যায় অসাধু লোকের কাছে। তার পরে ভাল লোকের হাতে তা পড়ে। আজ অমৃতের কলস অসাধুদের হাতে রয়েছে। দেশকে বাঁচাতে হলে তার হাতবদল দরকার। বিজেপিকে সরকার থেকে দূরে রাখতে হবে।” বৈঠক চলাকালীন সীতারামকে দেখা যায় রাহুলের সঙ্গে গভীর আলোচনা করতে। সূত্রের খবর, তিনি মোবাইল খুলে রাজ্যের বিভিন্ন আসনগুলির বিষয়েই বলছিলেন রাহুলকে।

ডিএমকে সাংসদ তিরুচি শিবার কথায়, “এই সরকার দেশের ধর্মনিরপেক্ষতাকে নষ্ট করছে। সংবিধানকে ভেঙে দিচ্ছে। বিভিন্ন বিরোধী রাজ্যে রাজ্যপালকে ব্যবহার করে সেখানকার স্থিতি নষ্ট করছে। রাজ্যপালকে এমন ভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে যাতে সেই রাজ্য সরকার নিজেদের যোজনা ও পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে না পারে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement