প্রতীকী ছবি।
জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক সিআরপি জওয়ানের। বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে দুই জঙ্গিরও মৃত্যু হয়েছে। ধরা পড়েছে এক জঙ্গি। এ দিনের ঘটনায় ফের স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, উপত্যকায় লস্কর-হিজবুল-আইএস— সব ক’টি জঙ্গি সংগঠন হাত মিলিয়ে কাজ করছে।
সংসদে হামলার চক্রী আফজ়ল গুরুর ফাঁসির সাত বছর পূর্তির দিন, ৯ ফেব্রুয়ারি বা তার আগে-পরে জঙ্গিরা হামলার চেষ্টা চালাবে, এমন খবর ছিল গোয়েন্দা সূত্রে। সেই আশঙ্কাই সত্য হল এ দিন।
পুলিশ সূত্রের খবর, শ্রীনগরের উপকণ্ঠে পরিম্পোরার শালাতেঙ-এ সিআরপিএফের টহলদারি দলের উপরে হামলা হয় এ দিন। মোটরবাইকে এসে তিন জঙ্গি তাদের উপরে গুলি চালাতে শুরু করে। জওয়ানরা পাল্টা গুলি চালায়। সিআরপির তরফে জানানো হয়েছে, গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন তাদের জওয়ান রমেশ রঞ্জন।
কাশ্মীর জোনের আইজিপি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, নিহত দুই জঙ্গির নাম জিয়া-উর রহমান ও খতিব। প্রথম জন লস্করের। দ্বিতীয় জন হিজবুল মুজাহিদিনের। হামলাকারী তৃতীয় জঙ্গি উমর ফৈয়জ ধরা পড়েছে। সে ইসলামিক স্টেট জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর (আইএসজেকে)-এর সদস্য। উমরেরও গুলি লেগেছে। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তার।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, প্রাণের আশঙ্কা নেই। তার আত্মীয়া হামিদা দাবি করেছেন, উমর আদৌ জঙ্গি নয়। একটি মুদি দোকান চালায় সে। সিআরপির মুখপাত্র ও ডিজিপি দিলবাগ সিংহের দাবি, বাহিনী তৎপর থাকাতেই বড় নাশকতা এড়ানো গিয়েছে।