পাহাড়ের রাস্তায় ধস। মেঘালয়ের রাতাছড়ায়।— নিজস্ব চিত্র
মেঘালয়ের পূর্ব জয়ন্তীয়া হিল ও পূর্ব খাসি হিল জেলায় ধস নেমে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মেঘালয়ের রাতাছড়ায় ভূমিধসের দরুন বরাক উপত্যকা, ত্রিপুরা ও মিজোরামের যাত্রীরা দুর্ভোগে। কাল বিকেল থেকে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ। দু’দিকে কয়েক হাজার গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে। আজ সারাদিন বৃষ্টি না-হওয়ায় রাস্তা খোলা হচ্ছে। তাতে সামান্য কিছু গাড়ি ধসের জায়গা পেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে। আটকে থাকা সকলের দুশ্চিন্তা, রাতে বৃষ্টি পড়া শুরু হলে ওই পিচ্ছিল পথে কোনও ধরনের গাড়ি চলতে পারবে না। নতুন করে ধস নামলে কী হবে, উৎকণ্ঠায় সবাই।
পুলিশ জানায়, গত কাল পূর্ব জয়ন্তীয়া হিল জেলার রটাচেরা গ্রামে বৃষ্টিতে পাহাড় থেকে নামা ধসে একটি গ্রামের কিছুটা অংশ চাপা পড়ে যায়। ঘুমের মধ্যেই তিন মহিলা-সহ চার জনের মৃত্যু হয়। জখম হন তিন জন। অন্য দিকে, পূর্ব খাসি হিল জেলার সোহরার মাওলাটাং গ্রামে ধস ও হড়পা বানে দু’টি বাড়ি ভেসে গিয়েছে। পরে, নদী থেকে পুলিশ তিনটি দেহ উদ্ধার করে। এক জন এখনও নিখোঁজ। ধসে ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কও দীর্ঘ ক্ষণ বন্ধ থাকে। ধস নেমে অনেক বাড়ি ১০০ ফুটের বেশি নীচে পড়ে গিয়েছে। পুলিশ ও বিএসএফ উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে।
এ দিকে, দু’দিন ধরে আটকে থাকার দরুন যাত্রীদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রীর অভাব দেখা দিয়েছে। মেঘালয়ের পাহাড়ি এলাকায় দোকানেও এখন আর কোনও কিছু মিলছে না। তবে যাত্রীবাহী গাড়িগুলিকে আগে ছাড়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মেঘালয় প্রশাসনের সঙ্গে বিএসএফ এই কাজে হাত লাগিয়েছে।