প্রবল বৃষ্টিতে ফের ধস নেমেছে মেঘালয়ে। আজ ভোর থেকে বন্ধ বদরপুর-শিলং-গুয়াহাটি জাতীয় সড়ক। বহু যাত্রী রাস্তায় আটকে।
আজ ভোরে মেঘালয়ের রাতাছড়া ও কুলিয়াঙে পাহাড় ধসে জাতীয় সড়কে এসে পড়ে। এর দরুন যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যাত্রী ও পণ্যবাহী প্রচুর গাড়ি সার বেঁধে দাঁড়িয়ে রয়েছে। মাঝপথে আটকে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সমস্যা বেড়ে গিয়েছে। পূর্ত বিভাগের কর্মীরা কাজে নামলেও ফল মিলছে না। পাহাড়ের মাটি-পাথর গলে রাস্তায় উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া অব্যাহত রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাস্তা কখন বা কবে চলাচলের উপযোগী হবে, তা নিয়ে পূর্ত দফতরের কর্তারা আগাম কিছু বলতে পারছেন না।
বরাক উপত্যকা, ত্রিপুরা ও মিজোরামের সঙ্গে বাইরের জগতের সড়ক যোগাযোগের এটিই একমাত্র পথ। রেললাইন বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষের কাছে কোনও বিকল্প নেই। মণিপুরও পণ্য পরিবহণে এই সড়ক পথ ব্যবহার করে। ফলে বিশাল এলাকা জুড়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
লাগাতার বৃষ্টিতে ধস নেমে বন্ধ শিলচর-হাফলং ৫৪ নং জাতীয় সড়কও। গত চার দিন ধরে পাহাড়ে লাগাতার বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত। ডিমা হাসাও জেলা ও রাজ্যের অন্যান্য অংশের সঙ্গে বরাক উপত্যকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। গত দশ মাস শিলচর-লামডিং সেকশনে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় বরাক উপত্যকার মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা। বৃষ্টির ফলে আজ সকালে শিলচর-হাফলং সড়কের মিয়াংক্র ও বান্দরখালে ধস নামে। বান্দরখালে দূরবীণ টিলার কাছে ধস নামে। মিয়াংক্রয় জলের স্রোতে সেতুর একটি অংশ ভেসে গিয়েছে। রেটজলের কাছেও ধস নামে। রাস্তার দু’পাশে বহু গাড়ি আটকে। জেলাশাসক জুরি ফুকন বলেন, মেরামতির কাজও ব্যাহত হচ্ছে। আগামী কাল থেকে ইন্ডিজিনাস স্টুডেন্ট ফোরামের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার জেলা বন্ধ সমস্যা বাড়াবে। তাই নিরাপত্তা বাড়িয়ে ধস সারাইয়ের কাজ করা হবে বলে জেলা শাসক জানান।