belda

জরুরি অবতরণের রানওয়ে বেলদায়

আপাতত পুরো প্রক্রিয়া শেষ করবে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। আটমাস সময় লাগবে। আগামী কয়েকমাসের মধ্যেই বিমান অবতরণের কাজ শুরু হয়ে যাবে। আপাতত সড়কের দু’ধারে থাকা গাছ কেটে পরিষ্কার করা হচ্ছে। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বেলদা শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০১:৪৮
Share:

রানওয়ে তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। নিজস্ব চিত্র

ভারতীয় বায়ু সেনার জরুরি অবতরণের রানওয়ে হচ্ছে বেলদায়। খড়্গপুর-বালেশ্বর ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর হবে এই ‘ল্যান্ডিং ফেসিলিটি’।
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ও ভারতীয় বায়ু সেনার যৌথ উদ্যোগেই শুরু হয়েছে এই কাজ। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, নারায়ণগড় ব্লকের বেলদা থানার পোক্তাপোল থেকে শ্যামপুরা পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার জুড়ে হবে বায়ু সেনার বিমানের জরুরি অবতরণের রানওয়ে। বিশেষ প্রয়োজনে এখানে বিমান নামবে। সবরকম ব্যবস্থাও থাকছে। আপাতত পুরো প্রক্রিয়া শেষ করবে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। আটমাস সময় লাগবে। আগামী কয়েকমাসের মধ্যেই বিমান অবতরণের কাজ শুরু হয়ে যাবে। আপাতত সড়কের দু’ধারে থাকা গাছ কেটে পরিষ্কার করা হচ্ছে।
জাতীয় সড়কের দু’দিকে যেসব ঘর রয়েছে সেগুলি ভাঙার কাজও শুরু হয়েছে। জাতীয় সড়কের অধিগৃহীত জমিতেই হবে কাজ। বাড়তি কোনও জমি নেওয়া হচ্ছে না। পাঁচ কিলোমিটার লম্বা ও ৬০ মিটার চওড়া হবে রানওয়ে। একটি কোম্পানি প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু করেছে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিমান অবতরণের জন্য তিন কিলোমিটার প্রয়োজন। তবে বাড়তি আরও দু’কিলোমিটার রাখা হচ্ছে। কাজে যুক্ত কোম্পানির সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার প্রভাতকুমার বেজ বলেন, ‘‘বায়ু সেনার বিমানের জরুরি অবতরণ হবে। তার জন্য কাজ চলছে। দু’ধার পরিষ্কার করার কাজ হচ্ছে। পরে রানওয়ে তৈরির কাজ হবে।’’
কেন এই জায়গা বেছে নেওয়া হল? জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, খড়্গপুর থেকে বালেশ্বরের দূরত্ব প্রায় ১২০কিলোমিটার। এর মধ্যে পোক্তাপোল থেকে শ্যামপুরা বাদ দিলে বাকি কোথাও এক লপ্তে সোজা পাঁচ কিলোমিটার সড়ক নেই। খড়্গপুর-বালেশ্বর জাতীয় সড়কের প্রজেক্ট ডাইরেক্টর ধীরজকুমার ভারতী বলেন, ‘‘ অনেক আগে থেকেই পরিকল্পনা মতো বায়ু সেনার বিমানের এমার্জেন্সি ল্যান্ডিং ফেসিলিটির কাজ শুরু হয়েছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement