রাজ্যে লগ্নি টানতে এ বার ‘ল্যান্ড ব্যাঙ্ক’ গড়ার সিদ্ধান্ত নিল ত্রিপুরা সরকার। শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী তপন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ‘‘রাজ্যে ল্যান্ড ব্যাঙ্ক গড়ার উদ্দেশে জেলাস্তরে কী পরিমাণ খাস জমি রয়েছে, সে বিষয়ে বিশদ তথ্য সংগ্রহ করার জন্য জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ ত্রিপুরায় আটটি জেলা রয়েছে। তপনবাবু জানান, জেলাপ্রশাসনের কাছ থেকে জমি সংক্রাম্ত তথ্য পাওয়ার পর রাজ্য মন্ত্রিসভায় বিষয়টি নিয়ে সবিস্তার আলোচনা করা হবে। কী পরিমাণ জমি শিল্পায়নের জন্য ব্যবহার করা হবে তার চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি করা হবে।
‘জমি ব্যাঙ্ক’ তৈরি হওয়ার পরে রাজ্যের শিল্পনীতিও আমূল বদলে যাবে বলে তপনবাবু জানিয়েছেন। এমনিতে রাজ্যে শিল্পায়নের লয় অত্যন্ত ধীর। এ কথা স্বীকার করেই শিল্প-বাণিজ্য মন্ত্রী জানান, ‘‘নয়া লগ্নি টানতে নতুন শিল্পনীতিও চালু করা হবে।’’ বর্তমানে যে শিল্পনীতি রয়েছে তার খোলনলচে বদলানো হবে। তাঁর কথায়, বর্তমান শিল্পনীতি হয়তো বড় বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে পারছে না। সেই কারণে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি-সহ দেশের অন্য রাজ্যের সঙ্গে তাল মিলিয়েই ত্রিপুরার নতুন শিল্পনীতি ঘোষণা
করা হবে। মূলধন-প্রধান শিল্পের ক্ষেত্রে নতুন শিল্পনীতিতে বিশেষ ‘ছাড়’ থাকবে বলেই ‘বামপন্থী’ তপনবাবুর ইঙ্গিত।