তেজস্বী যাদব, লালুপ্রসাদ যাদব এবং রাবড়ী দেবী (বাঁ দিক থেকে)। —ফাইল চিত্র।
‘জমির বদলে চাকরি’ দেওয়ার অভিযোগে সিবিআইয়ের মামলায় জামিন পেলেন রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব। জামিন পেয়েছেন তাঁর স্ত্রী রাবড়ী দেবী, পুত্র তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবও। বুধবার তাঁদের জামিন দেয় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। জামিন পাওয়ার প্রসঙ্গে তেজস্বীকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “এটি একটি আইনি বিষয়। আমরা আজ আদালতে গিয়েছিলাম। আদালত আমাদের জামিন দিয়েছে।
লালু প্রথম ইউপিএ সরকারের রেলমন্ত্রী থাকাকালীন (২০০৪-০৯) বিহারের বহু যুবককে জমির বিনিময়ে রেলের ‘গ্রুপ ডি’ পদে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। আঙুল ওঠে লালুর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ী এবং তাঁদের দুই কন্যা মিসা এবং হেমার বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্তে গত বছরের ২০ মে সিবিআই পটনা, দিল্লি-সহ দেশের মোট ১৫টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল। এর পর অগস্টে অভিযান চালানো হয় আরজেডির একাধিক নেতার বাড়িতে।
গত ২২ অক্টোবর ‘জমির বদলে চাকরি’ দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। লালু, রাবড়ি এবং তাঁদের দুই কন্যা মিসা ভারতী এবং হেমা যাদবের নামও ছিল সেখানে। এ ছাড়াও আরও ১২ জনের নাম ছিল চার্জশিটে। সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়, লালুপ্রসাদ রেলমন্ত্রী থাকার সময় বিভিন্ন ‘অযোগ্য’ ব্যক্তিকে মুম্বই, জব্বলপুর, কলকাতা-সহ রেলের বিভিন্ন জ়োনে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ, অবৈধ উপায়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা টাকা বা জমি নিয়েছিল লালুর পরিবার এবং ঘনিষ্ঠ নেতারা।
গত এপ্রিল মাসে এই মামলায় তেজস্বীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল আর এক তদন্তকারী সংস্থা ইডি। হোলির আগে তেজস্বীর দিল্লির বাড়ি-সহ ২৪টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ এবং সম্পত্তির হদিশ পাওয়ার কথা জানিয়েছিল ইডি। যদিও ইডির দাবিকে নস্যাৎ করে দিয়ে আরজেডি নেতা তেজস্বী জানান, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি তল্লাশি চালিয়ে কিছুই পায়নি। তল্লাশি চালিয়ে কোন কোন জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে, তা প্রকাশ্যে আনারও দাবি জানান তিনি। বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে তেজস্বী বলেছিলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধী দলগুলির বিরুদ্ধে গুজব রটাচ্ছে, মিথ্যা খবর তৈরি করছে।”