ছবি: সংগৃহীত।
তেজস্বীপ্রসাদ যাদব নয়, লালুপ্রসাদ জেলে যাওয়ার পরে দলের রাশ নিজের হাতে নিতে চাইছেন রাবড়ীদেবী। শুধু দলের সমস্যা নয়, পরিবারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা মেটাতে লালুপ্রসাদের নির্দেশেই রাবড়ীদেবী নিয়ন্ত্রণ রাখতে চাইছেন।
আজ দুপুরে লালুপ্রসাদের সাজা ঘোষণার আগে নিজের বাড়িতে দলের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করলেন রাবড়ীদেবী। সেই বৈঠকে দলের প্রবীণ নেতা, প্রাক্তন ও বর্তমান সাংসদ-বিধায়ক, জেলা সভাপতিরা হাজির ছিলেন। লালুপ্রসাদ সাজা পাওয়ার পরে আরজেডিকে কী ভাবে চালানো হবে তা নিয়ে আলোচনা করেন নেতারা। সেখানে মধ্যমণি ছিলেন রাবড়ীই। লালুর মেয়ে মিসা ভারতী ও তাঁর স্বামী শৈলেশ কুমারের বিরুদ্ধে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলায় এ দিনই দিল্লির আদালতে দ্বিতীয় চার্জশিট দিয়েছে ইডি। ফলে পরিস্থিতি বুঝে পা ফেলতে চাইছে আরজেডি।
সাজা ঘোষণার পরে টুইটারে লালুপ্রসাদের হ্যান্ডেলে বিহারবাসীর উদ্দেশে দু’পাতার একটি চিঠি আপলোড করা হয়। তাতে বিহারবাসীর হয়ে কাজ করার জন্য নিজেকে দায়বদ্ধ বলেন তিনি। পাশপাশি বিজেপিকে আক্রমণ করতে পিছপা হননি। চিঠির শেষে লালুপ্রসাদের হস্তাক্ষর রয়েছে। তেজস্বীও পটনায় বলেন, “মকর সংক্রান্তির পরে জনতার কাছে যাব। লালুজি কখনও ভয় পাননি, ভয় পাবেনও না।” আজ সকাল থেকেই রাবড়ীদেবীর সরকারি বাসভবনে বিভিন্ন জেলার নেতারা আসতে শুরু করেন। বৈঠক শেষে দলের নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ জগদানন্দ সিংহ জানান, বর্তমান পরিস্থিতির পাশপাশি আগামী ২০১৯ সালের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির অন্য একটি মামলায় পটনার সিবিআই আদালতে লালুপ্রসাদকে ১০ জানুয়ারি হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ওই মামলায় আরও ন’জন অভিযুক্তকে হাজির করানোর কথা। সে দিনই রাবড়ীদেবীর সঙ্গে তাঁর দেখা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, জেল থেকেই দল চালাতে চাইছেন লালু। সে কারণেই রাবড়ীদেবীকে সামনে রাখতে চান তিনি।
কেননা, তেজস্বীপ্রসাদের নেতৃত্ব মানতে রাজি নন দলের প্রবীণ নেতারা। বিশেষ করে রঘুবংশপ্রসাদ সিংহ, আব্দুর বারি সিদ্দিকিরা তেজস্বীকে নিয়ে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছিলেন লালুকে। শিবানন্দ তিওয়ারি, জগদানন্দ সিংহেরাও তেজস্বী-তেজপ্রতাপের সঙ্গে ততটা সহজ নন। পরিবারের মধ্যে কোনও বিরোধ তৈরি করতে চান না লালুপ্রসাদ। সে কারণেই তেজস্বী-তেজপ্রতাপ-মিসাকে এক ছাতার তলায় রাখতে রাবড়ীদেবীকেই ভরসা করছেন তিনি।