কোটায় আত্মঘাতী বিহারের মেধাবী ছাত্রী। প্রতীকী ছবি।
কোটায় আবার আত্মহত্যা। গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী ১৮ বছরের ছাত্রী। তাঁর বাবা-মা তাঁর জন্য নতুন বাড়ি খুঁজতে বেরিয়েছিলেন। সেই অবকাশেই আত্মহত্যা করেছেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ছাত্রীর নাম শেমবুল পরভিন। তিনি বিহারের চম্পারনের বাসিন্দা। কোটায় থেকে তিনি ডাক্তারির পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কোটার হস্টেলে থাকতেন ওই ছাত্রী। সম্প্রতি, মেয়েকে দেখতে এসেছিলেন বাবা-মা। গত মঙ্গলবার তাঁরা মেয়েকে হস্টেলে রেখেই তাঁর জন্য নতুন বাড়ির সন্ধানে বেরিয়েছিলেন। সেই সময়েই গলায় দড়ি দিয়েছেন ওই ছাত্রী।
অভিভাবকদের বক্তব্য, তাঁদের মেয়ে পড়াশোনা নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই মনমরা ছিলেন। পরীক্ষায় কম নম্বর পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। তা ছাড়া, হস্টেলের খাবার নিয়েও হতাশ ছিলেন তিনি। অভিযোগ, হস্টেলে নিম্নমানের খাবার দেওয়া হত। যখন ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবক দেখা করতে আসতেন, তখন তাঁদের সামনে শুধু ভাল খাবার পরিবেশন করতেন হস্টেল কর্তৃপক্ষ।
মৃত ছাত্রীর বাবা জানিয়েছেন, কোচিং ক্লাসে যাওয়ার আগে যাতে ভাল খাবার পাওয়ার আশায় তাঁর মেয়ে চাইতেন, মা তাঁর সঙ্গেই এসে থাকুন। মেয়ে পড়াশোনাতেও ভাল ছিল বলে জানিয়েছেন বাবা। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে তাঁর পরীক্ষার নম্বর কম হচ্ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার কয়েক ঘণ্টার জন্য মেয়েকে রেখে বেরিয়েছিলেন বাবা-মা। তাঁরা ফিরে দেখেন, সদর দরজা বন্ধ। ঘরের জানলা দিয়ে উঁকি মেরে দেখেন মেয়ে সিলিং থেকে ঝুলছেন।
কোটায় ছাত্র-ছাত্রীদের আত্মহত্যার ঘটনা নতুন নয়। অভিযোগ, পড়াশোনার চাপের সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে ছাত্রছাত্রীরা চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। এর আগেও যে কারণে রাজস্থানের এই শহর শিরোনামে উঠে এসেছে।