করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার পরে বিমার নিয়ম জানা আরও জরুরি। — নিজস্ব চিত্র।
অনেক প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা। আরও এক বার প্রমাণ করে দিয়েছে নিয়তির কাছে সকলেই বড় অসহায়। যে কোনও মুহূর্তেই দুর্ঘটনা কেড়ে নিতে পারে প্রাণ। কোনও ক্রমে প্রাণে বেঁচে গেলেও বানিয়ে দিতে পারে অক্ষম। তেমনটা হলে সরকারি ক্ষতিপূরণ হয়তো পাওয়া যায়, তবে রেলযাত্রীরা চাইলে সামান্য খরচে বিমাও করে রাখতে পারেন। তাতে মৃত্যু বা অন্য যে কোনও জখমের জন্য যাত্রী বা পরিবার পেতে পারে ক্ষতিপূরণ।
তবে দূরপাল্লার সফরে এই বিমা রেলের কাউন্টার থেকে কাটা টিকিটে পাওয়া যায় না। অনলাইনে টিকিট কাটলেই বিমার সুযোগ দেয় আইআরসিটিসি। বিমা করার জন্য বিশেষ খরচও নেই। যাত্রীদের মাথাপিছু ৩৫ পয়সা দিতে হয়। এর মধ্যে যাবতীয় করও ধরা রয়েছে। টিকিট কাটার আগে তাই জেনে নেওয়া জরুরি বিস্তারিত নিয়ম। তবে এই বিমা বাধ্যতামূলক নয়। কোনও যাত্রী চাইলে তবেই তিনি সেই সুযোগ নেবেন। অনলাইনে টিকিট কাটার জন্য নির্দিষ্ট জায়গায় ক্লিক করতে হয়। অনেকে এজেন্টের মাধ্যমে টিকিট কাটার সময়ে এটা বলে দেন না। যার জন্য প্রাপ্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। কনফার্মড টিকিট তো বটেই, আরএসি টিকিট থাকলেও বিমার সুবিধা মেলে। আবার এক সঙ্গে একাধিক টিকিট কাটা হলে তার মধ্যে একজনের টিকিট কনফার্মড হলেই বাকি যাত্রীরা সুবিধা পেতে পারেন। টিকিট কাটার পরে অনলাইনে জানানো মোবাইল নম্বরে বিমা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যও আইআরসিটিসি যাত্রীদের জানিয়ে দেয়।
এই বিমা করা যাত্রীর দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে আইআরসিটিসি মাথাপিছু ১০ লাখ টাকা দেয় পরিবারকে। যদি কোনও যাত্রী দুর্ঘটনায় প্রাণে বাঁচলেও পুরোপুরি অক্ষম হয়ে যান, সে ক্ষেত্রেও ১০ লাখ টাকা দেওয়া হয়। আংশিক অক্ষম হলে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ২ লাখ টাকা দেয় আইআরসিটিসি। কারও মৃত্যু হলে দেহ বাড়িতে পৌঁছানোর খরচ হিসাবেও ১০ হাজার টাকা দেয় আইআরসিটিসি।