অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। ফাইল চিত্র।
জানুয়ারিতেই মায়ানমারের অজ্ঞাতবাস থেকে অসমে এসেছিলেন কেএলও প্রধান জীবন সিংহ। তার পর থেকে তাঁর কোনও কথা শোনা যায়নি। সপার্ষদ জীবন আজ একটি ভিডিয়ো-বার্তায় জানান, তিনি বহাল তবিয়তে আছেন। চলছে শান্তি আলোচনাও।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা জানিয়েছিলেন, জীবন অসমের আতিথ্যে আছেন। আলোচনা চলছে। কিন্তু পৃথক রাজ্যের কোনও দাবি তাঁরা পেশ করেননি। জীবন সিংহ ভারতে ঢোকার পর থেকে তাঁর কোনও বিবৃতি আসেনি, তিনি সামনেও আসেননি। তাই বিভিন্ন মহলে কানাঘুষো শুরু হয়েছিল— জীবনকে চাপে রেখে, আটক রেখে কমতাপুরের দাবি বা শান্তি আলোচনা গুরুত্বহীন করে তোলার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে কেন্দ্র ও অসম সরকার।
এই পরিস্থিতিতে জীবন আজ সঙ্গীদের নিয়ে করা ভিডিয়ো বার্তায় বলেন, ‘‘আমি সতীর্থদের নিয়ে ভারত সরকারের তত্ত্বাবধানে ভাল আছি। আমায় নিয়ে চলতে থাকা গুজবে কান দেবেন না। সমাধানসূত্র এখন সময়ের অপেক্ষামাত্র।’’ কামতাপুরের দাবি মানতে হলে অসম ও বাংলা বিভাজনের প্রসঙ্গও উঠছে। এ নিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘কেএলওর সভাপতি অসমে আছেন। সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ কোচ রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে। শান্তি আলোচনার জন্য তাঁদের একসঙ্গে বসা প্রয়োজন। আলফাও স্বাধীন অসম দাবি করছে। তাদের সঙ্গে কথা বলা মানেই অসম বিভাজন বা স্বাধীনতার দাবি মেনে নেওয়া নয়।’’ তিনি বলেন, ‘‘আমরা সব সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান করেছি। তার জন্য রাজ্য ভাগ করতে হয়নি।’’ পশ্চিমবঙ্গের প্রতি হিমন্তের বার্তা, ‘‘জীবন সিংহদের আপ্যায়ন করে, ভাল ভাবে আলোচনায় বসে বোঝাতে হবে, আলাদা রাজ্য দেওয়া যাবে না। সকলে বাংলাতেই থাকব। তাতে সমস্যার সমাধান সম্ভব। কিন্তু ওঁদের কথা না শুনলে, জোর করে দমনের চেষ্টা করলে ভুল হবে।’’