—ফাইল চিত্র।
‘জয় শ্রী রাম’ না বলায় বছরের শুরুতেই প্রাণ গিয়েছে তবরেজ আনসারির। তাঁর হত্যার তদন্ত নিয়েও বিতর্ক চলছে। তার মধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারকে এক হাত নিলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর। একাধিক রাজ্যে কড়া আইন চালু হওয়া সত্ত্বেও, একের পর এক গণপিটুনি এবং হত্যাকাণ্ডের জন্য মোদী সরকার এবং হিন্দুত্ববাদী রাজনীতিকেই কাঠগড়ায় তুললেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘ভগবান রামের নামে হত্যাকাণ্ড ঘটালে আসলে তাঁকে অপমানই করা হয়।’’
রবিবার পুণে-তে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শশী তারুর। ২০১৪-য় মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরই গণপিটুনি এবং গণহত্যার মতো ঘটনা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে বলে সেখানে দাবি করেন তিনি। তারুর বলেন, ‘‘গত ছ’বছর ধরে কী দেখছি আমরা? পুণের মহসিন শেখকে দিয়ে শুরু হয়েছিল। তার পর গো-মাংস রাখার অভিযোগে হত্যা করা হয় মহম্মদ আখলাককে। যদিও পরে দেখা যায়, গোমাংস ছিলই না তাঁর কাছে। আর গোমাংস থাকলেও, তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার অধিকার কে দেয়?’’
গত কয়েক বছরে যত পিটিয়ে মারার ঘটনা ঘটেছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে যে আক্রান্ত সংখ্যালঘুর সম্প্রদায়ের এবং আক্রমণকারী উগ্র হিন্দুত্ববাদে বিশ্বাসী । কিন্তু হিন্দু ধর্মে যে কাউকে পিটিয়ে ফেলার নিদান নেই, সে কথাও এ দিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন শশী তারুর। তিনি বলেন, ‘‘এটাই কি আমাদের ভারত? হিন্দু ধর্ম কি এই কথা বলে? আমি নিজে হিন্দু, তবে এই ধরনের হিন্দু নই আমি। মারার আগে জয় শ্রী রাম বলতে বলা হচ্ছে মানুষকে। এতে আসলে হিন্দু ধর্মকেই অপমান করা হচ্ছে। যে রামের নামে মানুষকে মারা হচ্ছে, এতে অপমান তাঁরও।’’
আরও পড়ুন: মার্কিন সংস্থার সঙ্গে ২৫০ কোটি ডলারের মউ, মোদীর বৈঠক শিল্পপতিদের সঙ্গে
তারুর আরও বলেন, ‘‘ডেয়ারি ফার্ম চালানোয় লরিতে গরু নিয়ে যাওয়ার লাইসেন্স ছিল পেহলু খানের। তা সত্ত্বেও তাঁকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়, একটা নির্বাচন এতটাই ক্ষমতা হাতে তুলে দিয়েছে যে, মন চাইলে কাউকে মেরে ফেলা যায়।’’
আরও পড়ুন: ফের ‘সক্রিয়’ বালাকোটের জঙ্গি ঘাঁটি, গোয়েন্দা রিপোর্টে চাঞ্চল্য
এর আগে, শনিবারও অসহিষ্ণুতা নিয়ে মোদী সরকারের মেরুকরণের রাজনীতিকে দায়ী করেছিলেন শশী তারুর।