প্রতীকী ছবি।
সল্টলেকের নয়াপট্টির বাসিন্দা দুই যুবকের অপহরণ কাণ্ডে নেমে পটনার মাফিয়া বিকাশ সিংহকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করবে সিবিআই। গত ৬ জুন বিকাশকে ঝাড়খণ্ডের রাঁচীর একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে গ্রেফতার করে বিহার পুলিশের এসটিএফ। তার পরেই পটনা পুলিশের তরফে কলকাতার সিবিআই অফিসে বিকাশের গ্রেফতারের খবর দেওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১৪-র ১৪ জুলাই ঝাড়খণ্ডের বোকারোয় ছাঁট লোহা কিনতে গিয়ে নিখোঁজ হন নয়াপট্টির বাসিন্দা শুকদেব দাস ও বিশ্বজিৎ মণ্ডল। পরিবারের পক্ষ থেকে বিধাননগরের ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। প্রথমে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ, পরে হাইকোর্টের নির্দেশে সিআইডি তাঁদের সন্ধানে নামে। ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি সহিদুল্লা মুন্সির ডিভিশন বেঞ্চ দুই যুবকের সন্ধানে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। ২০১৬-র নভেম্বরে সিবিআইয়ের ইনস্পেক্টর কৌশিক সরকার পটনার বু্দ্ধ কলোনি থানা এলাকায় অভিযান চালান। তবে সে সময়ে গ্রেফতার হয়নি কেউই। তার আগেও বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার আইসি পিনাকি রায় এবং তদন্তকারী অফিসার সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পুলিশের দল তিন বার বিহারে এসেছিল। তথ্য সংগ্রহ করলেও নিখোঁজদের খোঁজ পায়নি। শেষ বার বিশ্বজিতের মোবাইল লোকেশন পাওয়া গিয়েছিল জসিডি এলাকায়।
আরও পড়ুন: ভিডিও ভাইরাল, পরিবার ফিরে পেলেন নব্বই বছরের বৃদ্ধ!
তদন্তে জানা গিয়েছে, বোকারো যাওয়ার দিন শুকদেব ও বিশ্বজিতের সঙ্গে আরও তিন যুবক ছিলেন। পরিচয় গোপন করেই তারা মিশেছিল বিশ্বজিৎদের সঙ্গে। তাদের মধ্যে দু’জনের নাম ভোলা সিংহ ও বিকাশ সিংহ। পটনায় এক বাহুবলী বিধায়কের ঘনিষ্ঠ এই দু’জন পটনায় এক গাড়ি ব্যবসায়ীর ওপর তোলাবাজির জেরে হামলা চালিয়েছিল। ২০১১ সালে পটনার বেউর জেল থেকে বেরিয়ে পটনা পুলিশের তাড়া খেয়ে বারাণসী পৌঁছয় ভোলা এবং বিকাশ। সেখান থেকে কলকাতা এবং রাঁচীতে নিজেদের জাল ছড়ায়। যদিও পরে ভোলা সিংহ বারাণসীতে গ্রেফতার হয়। বিকাশের সঙ্গে ভোলার সম্পর্ক ভেঙে যায়। পরস্পরের বিরোধ চরমে পৌঁছয়। কলকাতার নয়াপট্টিতে নাম ভাঁড়িয়ে থেকে প্রমোটারদের থেকে তোলাবাজি চালাত বিকাশ। সে সময়েই বিশ্বজিৎ ও শুকদেবের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল বিকাশের।
আরও পড়ুন: জেলে মিলছে না মুরগি, অভিযোগ আবু সালেমের