প্রতিনিধিত্ব মূলক ছবি।
ভারতের আপত্তি উপেক্ষা করেই স্বাধীন ও সার্বভৌম খলিস্তান রাষ্ট্রের দাবিতে কানাডায় গণভোটের আয়োজন করল কট্টরপন্থী গোষ্ঠী ‘শিখস ফর জাস্টিস’ (এসএফজে)। নরেন্দ্র মোদী সরকারের তরফে কূটনৈতিক স্তরে যে আপত্তি জানানো হলেও, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে চায়নি বলে বিদেশ মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে।
ভারতে নিষিদ্ধ খলিস্তানপন্থী সংগঠন এসএফজে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সারের গুরু নানক সিংহ গুরুদ্বারে গত সপ্তাহে ওই খলিস্তানপন্থী গণভোটের আয়োজন করেছিল। কানাডায় বসবাসকারী প্রায় সাত হাজার শিখ তাতে অংশ নিয়েছিলেন। বিদেশ মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ওই গণভোটে হাজির ছিলেন এসএফজে-র প্রতিষ্ঠাতা গুরপতবন্ত সিংহ পান্নুন।
গত বছরের নভেম্বরে কানাডার অন্টারিওতে জমায়েত এবং গণভোটের ডাক দিয়েছিল। সেই উদ্যোগকে সরাসরি ‘জঙ্গি কার্যকলাপ’ হিসাবে চিহ্নিত করেছিল নয়াদিল্লি। কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো কূটনৈতিক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, সে দেশের মাটি ব্যবহার করে ভারত বিভাজনের চেষ্টা শুরু করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। কিন্তু তার পরেও আয়োজিত হয়েছিল গণভোট।
২০১৯ সালের জুলাই মাসে এসএফজে-কে ‘আন’ল’ফুল অ্যাক্টিভিটিজ প্রিভেনশন অ্যাক্ট’ (ইউএপিএ)আইনের আওতায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। সংগঠনের প্রধান গুরুপতবন্তের বিরুদ্ধে ভারতের ‘রেড কর্নার নোটিস’ জারির জন্য আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের কাছে নয়াদিল্লির তরফে আবেদনও জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেই আবেদন ইন্টারপোল খারিজ করে দেয়। এর পরেই ওই বিচ্ছিন্নতাবাদী শিখ গোষ্ঠী কানাডায় গণভোটের আয়োজনের জন্য নতুন উদ্যমে তৎপরতা শুরু করে।
২০২০ লন্ডনের ট্রাফালগার স্কোয়ারেও স্বাধীন ও সার্বভৌম খলিস্তান রাষ্ট্রের দাবিতে বড় জমায়েত করেছিল এসএফজে। নয়াদিল্লি বারবার লিখিত এবং মৌখিক অনুরোধ করা সত্ত্বেও ব্রিটেনের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মের সরকার নিষিদ্ধ করেনি ভারত-বিরোধী ওই সমাবেশকে। ২০২২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর কানাডার ব্রাম্পটনেও খলিস্তান রাষ্ট্রের দাবিতে সমাবেশ করে ওই সংগঠন। এর পিছনে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মদত ছিল বলে নয়াদিল্লির অভিযোগ। সে সময় একটি ভিডিয়ো বার্তায় (যার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন) এসএফজে প্রধান গুরুপতবন্ত দাবি করেছিলেন, পঞ্জাবে বিধানসভা ভোটের আগে আম আদমি পার্টি (আপ)-র অরবিন্দ কেজরীওয়াল এবং ভগবন্ত মান তাঁদের দলের জন্য ৬০ লক্ষ ডলারের বেশি অনুদান চেয়েছিলেন খলিস্তানপন্থী শিখদের কাছে।