প্যারিসের আলোচনাসভায় রাহুল গান্ধী। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
প্যারিসের বিশ্ববিদ্যালয়ে রাহুল গান্ধীর ‘হিন্দুত্ব’-মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানাল বিজেপি। দলের সাংসদ তেজস্বী সূর্য এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) ধারাবাহিক পোস্টে নিশানা করেছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে। তার জবাব এসেছে কংগ্রেস শিবির থেকেও।
বেঙ্গালুরুর বিজেপি সাংসদ লিখেছেন, ‘‘রাহুল গান্ধী যে বই উল্লেখ করে হিন্দুধর্ম চর্চা করার কথা বলেছেন, তা থেকেই বোঝা যায় আমাদের ধর্ম সম্পর্কে তাঁর জ্ঞান কতটা অগভীর। ভারত যখন জি২০-তে বিশ্বকে ঐক্যের পথ দেখাচ্ছে, তিনি তখন ইউরোপে হাতে গোণা কয়েক জনের সামনে কান্নাকাটি করছেন। গত এক দশকে দেশ তাঁর রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছে।’’ সোমবার বিজেপির তরফে অভিযোগ তোলা হয়, নয়াদিল্লিতে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন চলাকালীন রাহুল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বিদেশ থেকে ওই মন্তব্য করেছেন। দেশের ভাবমূর্তি খাটো করতে চাইছেন।
ইউরোপ সফরে গিয়ে রবিবার প্যারিসের সায়েন্সেস পিয়ো বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় রাহুল বলেন, , “আমি গীতা পড়েছি। উপনিষদ পড়েছি। হিন্দু ধর্মগ্রন্থ পড়েছি। বিজেপি যা করে, তার মধ্যে কোনও হিন্দুত্ব নেই। কোনও বইয়ে লেখা নেই, দুর্বলকে তুমি ভয় দেখাও, আঘাত করো। হিন্দু জাতীয়তাবাদী বলে কিছু হয় না। ওরা আসলে যে কোনও মূল্যে ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়।” কংগ্রেসের মুখপাত্র পূজা ত্রিপাঠী সোমবার তেজস্বীর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘‘পরিকল্পিত ভাবে লোকসভা ভোটের আগে হিন্দুত্বের জিগির তুলতে চাইছে বিজেপি।’’
প্যারিসের ওই আলোচনাসভায় রাহুল অভিযোগ করেন, বিজেপি ভোটের মেরুকরণ করে। বিদ্বেষ ছড়ায়। বিভাজন তৈরি করে। ধনী মুনাফাখোর শিল্পপতিরা বিজেপিকে আর্থিক মদত দেয়। বিজেপির পিছনে এই পরিকাঠামোটি কাজ করে। রাহুল বলেন, “নরেন্দ্র মোদী এই পুরো কাঠামোটা চালাচ্ছেন, এটা বলা অতি সরলীকরণ। আসলে নরেন্দ্র মোদী এই গোটা কাঠামোর একটি যন্ত্র। আমি নিশ্চিত, সঙ্ঘ পরিবার চাইলে পাঁচ মিনিটে নরেন্দ্র মোদীকে সরিয়ে দিতে পারে।”