খলিস্তানই কাঁটা, ট্রুডো বুঝলেন

সাউথ ব্লক গোড়া থেকেই এই সফর নিয়ে শীতল মনোভাব নিয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, খলিস্তানি আন্দোলনে কানাডার সক্রিয় সমর্থনই গলার কাঁটা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:১৫
Share:

সাবরমতী আশ্রমে চরকা কাটা থেকে মুম্বইয়ে শাহরুখ খানের সঙ্গে ছবি তোলা বা অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে রুটি বেলা— সব হল। কিন্তু কূটনৈতিক দিক থেকে এবং ভারত-কানাডা বাণিজ্য সম্পর্কের নিরিখে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সফর মূষিক প্রসব করেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

সাউথ ব্লক গোড়া থেকেই এই সফর নিয়ে শীতল মনোভাব নিয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, খলিস্তানি আন্দোলনে কানাডার সক্রিয় সমর্থনই গলার কাঁটা। ট্রুডোর লিবারাল পার্টির সঙ্গে খলিস্তানি সংগঠনের যোগাযোগ কোনও গোপন ঘটনা নয়। গত বছরই টরন্টোতে খলিস্তানি পতাকা শোভিত অনুষ্ঠানে ট্রুডো উপস্থিত ছিলেন। আজ পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংহও চল্লিশ মিনিটের বৈঠক করে ট্রুডোকে বলে দিয়েছেন, খলিস্তানি আন্দোলনে অর্থ আসছে কানাডা থেকে। অবিলম্বে তা বন্ধ করতে হবে।

পরে অমরিন্দরের কার্যালয় থেকে জানানো হয়, ‘‘কানাডার প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে নির্দিষ্ট আশ্বাস এসেছে বিচ্ছিন্নতাবাদ এবং হিংসা বন্ধ করতে তাঁরা সহায়তা করবেন।’’ তবে মুখের কথায় আশ্বস্ত না হয়ে কাজে কী হয়, নজর রাখতে চাইছে সাউথ ব্লক।

Advertisement

বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, কানাডার বিদেশমন্ত্রী নিজে এবং সে দেশের রাজনৈতিক নেতারা শিখ উগ্রপন্থার বিষয়টি নিয়ে বিরূপ অবস্থান নিতে চান না। কারণ সে দেশের ১৪ লক্ষ ভারতীয়ের মধ্যে বেশির ভাগই শিখ। সেখানকার সংবাদমাধ্যম যদিও বলে চলেছে যে আগুন নিয়ে খেলা হচ্ছে। ১৯৮৫-র উড়ানে বিস্ফোরণের ঘটনা বারবার মনে করানো হচ্ছে ট্রুডোকে। কানাডার গুরুদ্বারগুলি চরমপন্থার আখড়া হয়ে উঠছে— এমন সতর্কবার্তাও আছে। আজ অমরিন্দরও বিষয়গুলি উত্থাপন করেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement