(বাঁ দিক থেকে) নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ এবং দেবেন্দ্র ফডণবীস। — ফাইল চিত্র।
নির্বাচন কমিশনের তরফে এখনও ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু হরিয়ানায় জয়ের পরে কালক্ষেপ না করেই মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতিতে নেমে পড়লেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। সোমবার রাতে মহারাষ্ট্র বিজেপির সভাপতি চন্দ্রশেখর বাওয়নকুলে, উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস-সহ কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীর সভাপতি জেপি নড্ডা বৈঠকে হাজির থাকবেন।
মহারাষ্ট্রে চলতি বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৬ নভেম্বর। তার আগেই ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে ওই রাজ্যের বিধানসভা ভোট হতে পারে। সে রাজ্যে বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা এবং আর এক উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ারের এনসিপির সঙ্গে ‘মহাজুটি’ গড়ে সরকার চালাচ্ছে বিজেপি। আসন্ন বিধানসভা ভোটে রাজ ঠাকরের নেতৃত্বাধীন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনএস) এবং রাষ্ট্রীয় সমাজ পক্ষের নেতা মহাদেব জানকরকেও সেই জোটে শামিল করা হতে পারে বলে দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে।
ফডণবীস-সহ মহারাষ্ট্র বিজেপির নেতারা সোমবার দুপুরেই দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন। বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার দুই সিনিয়র সদস্য, মহারাষ্ট্রের নেতা নিতিন গডকড়ী, পীযূষ গয়ালও থাকতে পারেন বলে ওই সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটে পর্যবেক্ষক এবং সহ-পর্যবেক্ষক হিসাবে ইতিমধ্যেই বিজেপির তরফে নিয়োগ করা হয়েছে মোদী মন্ত্রিসভার দুই সদস্য ভূপেন্দ্র যাদব ও অশ্বিনী বৈষ্ণোকে। মহারাষ্ট্র বিধানসভায় মোট বিধায়কের সংখ্যা ২৮৮। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জাদুসংখ্যা ১৪৫।
বর্তমানে সে রাজ্যে বিজেপির ১০৩, এনসিপি (অজিত) ৪০ এবং শিন্ডেসেনার ৩৮ জন বিধায়ক রয়েছেন। পাশাপাশি, বহুজন বিকাশ আঘাড়ীর ৩, প্রহার জনশক্তি পার্টির ২ এবং মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা, রাষ্ট্রীয় সমাজ পক্ষ, জেএসএসের এক জন করে বিধায়ক এবং ১৪ নির্দলের সমর্থনও রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডের সরকারের সঙ্গে। কিন্তু লোকসভা ভোটে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজ্যে (জনসংখ্যার নিরিখে) বিজেপির জোটকে টেক্কা দিয়েছে কংগ্রেস, উদ্ধব ঠাকরেপন্থী শিবসেনা (ইউবিটি) এবং শরদ পওয়ারপন্থী এনসিপি (এসপি)-র জোট ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’। সে রাজ্যের ৪৮টি লোকসভা আসনের মধ্যে বিরোধী জোটের ঝুলিতে গিয়েছে ৩০টি। পাশাপাশি, সাংলি আসনে জয়ী নির্দল প্রার্থী কংগ্রেস শিবিরে ভিড়ে গিয়েছেন ইতিমধ্যেই। অন্য দিকে, শাসক জোট পেয়েছে ১৭টি। তবে হরিয়ানার মতোই মহারাষ্ট্রেও লোকসভা ভোটের ধাক্কা বিধানসভায় ‘সামলে নেওয়া’ যাবে বলে আশাবাদী ‘পদ্ম’শিবির।