—প্রতীকী ছবি।
এক নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত বাম শাসিত কেরল। ওই ঘটনার জেরে সামাজিকমাধ্যমে ক্ষমা চাইল পিনারাই বিজয়নের পুলিশ। তারা লিখেছে, ‘সরি ডটার’। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ওই নাবালিকাকে বাঁচাতে তারা সব রকম চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তা ব্যর্থ হয়েছে। এ জন্য তারা ক্ষমাপ্রার্থী। বিরোধীরা অবশ্য বলছে, মণিপুর-সহ দেশে বিভিন্ন প্রান্তে নারী নিগ্রহের ঘটনায় প্রতিবাদ তীব্র হচ্ছে। নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতেই বিজয়ন সরকারের পুলিশ সামাজিকমাধ্যমে ক্ষমা চেয়েছে।
বিহারের বাসিন্দা এক দম্পতি কর্মসূত্রে কেরলের এর্লাকুলমে থাকেন। গত পরশু থেকে তাঁদের পাঁচ বছরের মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ওই দম্পতি। তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আশফাক আলম নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, শুক্রবার রাতে ওই ব্যক্তি এতটাই মত্ত অবস্থায় ছিল যে তাকে জেরাই করা যায়নি। গত কাল সকালে সে স্বীকার করে ওই নাবালিকাকে খুন করেছে। অলুভার একটি বাজারে জলা জায়গা থেকে নাবালিকার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কেরল পুলিশের তরফে সামাজিকমাধ্যমে লেখা হয়, ‘সুস্থ অবস্থায় মেয়েটিকে তার বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার যাবতীয় চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। সরি ডটার’।
এর্নাকুলমের পুলিশ সুপার(গ্রামীণ) বিবেক কুমার বলেন, ‘‘সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আশফাককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, ওই নাবালিকাকে সে নিয়ে যাচ্ছে।’’ সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে পুলিশের এক অফিসার জানিয়েছেন, ডাক্তারি পরীক্ষায় প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে, ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের পরে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। ধৃত ব্যক্তিও বিহারের বাসিন্দা এবং পেশায় শ্রমিক। নির্যাতিতার বাড়ির কাছেই থাকত।’’
ওই নিগ্রহের ঘটনায় বিজয়ন সরকারকে নিশানা করেছে বিরোধীরা। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের অভিযোগ, এই ধরনের জঘন্য অপরাধ দমনে ব্যর্থ বাম সরকার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা ভি মুরলীধরনের অভিযোগ, সামাজিকমাধ্যমে ক্ষমা চাওয়া পুলিশের কাজ নয়, পরিযায়ী শ্রমিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ রাজ্য সরকার।