প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
স্ত্রীকে নিয়ে একটি ভাড়াবাড়িতে থাকতেন নওশাদ। হঠাৎই বছর দেড়েক আগে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। জলজ্যান্ত একটি মানুষ আচমকা উধাও হয়ে যাওয়ায় নওশাদের পরিবারের সন্দেহ গিয়ে পড়ে তাঁর স্ত্রী আফসানার উপর। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে আফসানাকে গ্রেফতারও করে পুলিশ।
সেই সময় আফসানা পুলিশের কাছে দাবি করেন, নওশাদকে খুন করে তাঁর দেহ পুঁতে দিয়েছেন তিনি। আফসানার সেই দাবি শুনে পুলিশ নওশাদের দেহের খোঁজে নামে। কিন্তু আফসানার দেখানো জায়গায় নওশাদের দেহ না মেলায় ধন্দে পড়ে যায় পুলিশও। তার পর দেড় বছর কেটে গিয়েছে। জেল থেকে মুক্তিও পেয়ে গিয়েছিলেন আফসানা।
কিন্তু নওশাদ গেল কোথায়? সেই রহস্য না কাটায় ফের পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁর পরিবার। আফসানাকে জেরা করেও নওশাদের হদিস মেলেনি। পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানোর পর বুধবার এক সূত্র মারফৎ জানতে পারে, ১৩০ কিলোমিটার দূরে একটি গ্রামে দেখা গিয়েছে নওশাদের মতো এক যুবককে।
সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সেই গ্রামে অভিযান চালায়। সেখানে গিয়েই এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে নওশাদকে উদ্ধার করে পুলিশ। হাতেনাতে ধরা পড়ে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যান নওশাদও। পুলিশ চেপে ধরতেই নওশাদ দাবি করেন, স্ত্রীর ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে পাশের জেলায় আত্মগোপন করে ছিলেন। তাঁর অভিযোগ, স্ত্রী প্রায়ই তাঁকে লোক দিয়ে মারধর করাতেন। স্ত্রীর অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
নওশাদকে খুঁজে পাওয়ার পর আফসানাকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়। পুলিশকে বিভ্রান্ত করার জন্য তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়। ঘটনাটি কেরলের পাথানামথিত্তা জেলার। ওই জেলা থেকে পালিয়ে ইদুকি জেলার থোরুপুঝাতে লুকিয়ে ছিলেন নওশাদ।