বাবাকে মারছে ছেলে। প্রতীকী চিত্রের অলঙ্করণে তিয়াসা দাস।
পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তি ছেলের কাছে ভয়ে হাত জোড় করে মিনতি জানাচ্ছেন, ‘‘আমি জানি না...আমি নিইনি।’’ কিন্তু বাবার কথায় কর্ণপাত করছেন না ছেলে, উল্টে এলোপাথাড়ি ঘুসি চালাচ্ছেন। এ ভাবে মারতে মারতে বাবার কাপড় খুলে ফেলে দিলেন মাটিতে। তার পর শুরু হল লাথি মারা। ঘটনার সময় সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন মা, কিন্তু ছেলের উগ্রতা দেখে সামনে আসার সাহস পাচ্ছিলেন না।
এই ঘটনার ভিডিয়ো আপলোড করা হয় একটি ফেসবুক পেজ থেকে। তার পরই ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়ো। যদিও পরে ভিডিয়োটি ওই পেজ থেকে সরিয়েও নেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১ অক্টোবর, কেরলে। কিন্তু বাবাকে কেন ওই ভাবে মারলেন ছেলে?
কেরলে গাঁধী জয়ন্তীর আগের দিন, ১ অক্টোবর ছিল ড্রাই ডে। অর্থাৎ সে দিন রাজ্যের সব মদের দোকান বন্ধ। সে জন্য ২৯ বছরের রতীশ আগে থেকে সংগ্রহ করে রেখেছিলেন মদের বোতল। কিন্তু গত ১ অক্টোবর সেটি খুঁজে পাননি। তখন সেই সন্দেহ যায় বাবার উপর। তার পরই বাবাকে পেটাতে শুরু করেন রতীশ। মাটিতে পড়ে যখন ছেলের হাতে মার খাচ্ছেন বাবা, তখন পাশ থেকে এক যুবক এসে রতীশকে চেপে ধরে আটকান।
বাবাকে মারার ভিডিয়োটি ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। কুরাথিকাদ থানার পুলিশ গ্রেফতার করে রতীশকে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলাও দায়ের করা হয়েছে। সেখানকার এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, রতীশ মদে আসক্ত। মত্ত অবস্থায় সে প্রায়শই বাড়িতে এ রকম অশান্তি করে।
আরও পড়ুন: চিনের চোখরাঙানি রুখতে নয়া কৌশল ভারতের, তৈরি হল ডোকলাম পৌঁছনোর শর্টকাট রাস্তা
আরও পড়ুন: জীবনে ব্যর্থতা থেকেই পেয়েছেন শিক্ষা, বলছেন শূন্য থেকে শীর্ষে যাওয়া সন্দীপ মহেশ্বরী