অতিবর্ষণে ভয়ঙ্কর ধস কেরলের রাজামালায়। শুক্রবার সকালে। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।
একনাগাড়ে অতি প্রবল বর্ষণের জেরে ভয়ঙ্কর ধস নামল কেরলের ইদ্দুকি জেলার রাজামালায়। শুক্রবার সকালের ওই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ১৩। সরকারি সূত্রের খবর, ধসে চাপা পড়ে রয়েছেন ৮০ জনেরও বেশি চা-শ্রমিক। আপাতত ১২ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ও দিকে, টানা দু’দিনের প্রবল বর্ষণের পর মুম্বইয়ে শুক্রবার সকালে বৃষ্টি কিছুটা কমেছে। প্রবল বর্ষণে ধস নেমেছে কর্নাটকের কোড়াগু জেলাতেও।
ইদ্দুকি জেলার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, এ দিন সকালে ধস নামে মুন্নারের অদূরে রাজামালায়। যেখানে ওই ভয়ঙ্কর ধস নেমেছে, সেখানে থাকেন প্রচুর চা-শ্রমিক। তাঁদের বহু পরিবার ধসে চাপা পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেছেন, ‘‘ধসে চাপা পড়া চা-শ্রমিকদের উদ্ধারে জাতীয় বিপর্যয় মোকবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) একটি দলকে রাজামালার ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ, দমকলকর্মী, বনকর্মী ও রাজস্ব কর্মীদেরও উদ্ধারকাজে সাহায্য করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
এনডিআরএফ-এর আর একটি দলকে ত্রিচূড়ে তৈরি রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে ওই দলটিও পৌঁছে যাবে রাজামালার ঘটনাস্থলে।
আরও পড়ুন: ‘রামজন্মভূমি মুক্ত হল’, ১৫ অগস্টের সঙ্গে তুলনা টানলেন মোদী
আরও পড়ুন: নবযুগের শুরু, বললেন মোহন ভাগবত, রুপোর ইট গেঁথে সূচনা রামমন্দিরের
কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর দফতর সূত্রের খবর, উদ্ধারকাজে সাহায্য করতে বিমানবাহিনীকে অনুরোধ করা হয়েছে।
অতি প্রবল বর্ষণে মুম্বইও ডুবুডুবু। -ফাইল ছবি।
অতি প্রবল বর্ষণে রাজ্যের অন্যান্য প্রান্ত থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে রাজামালা। বিদ্যুৎ ও অন্যান্য যোগাযোগ ব্যবস্থা দারুণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার পরেও দ্রুত উদ্ধারকাজে সহায়তা করতে দমকলকর্মী ও বনকর্মীদের একটি দল রাজামালার ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে বলে তিরুঅনন্তপুরমে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রবল বর্ষণে সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতি ও ধসের ঘটনার জন্য কেরলের কেরলের এর্নাকুলাম, ত্রিচূড়, পালাক্কাড়, কোজিকোড়, কান্নুর ও কাসারগড় জেলাগুলির জন্য ‘অরেঞ্জ অ্যালার্ট’ জারি করেছে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর।
কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ধসে চাপা প়ড়া শ্রমিকদের বের করে আনার পর তাঁদের দ্রুত চিকিৎসা ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাছের এর্নাকুলাম ও কোট্টায়াম জেলা থেকে ইতিমধ্যেই দু’টি চিকিৎসকদল এবং ১৫টি অ্যাম্বুল্যান্স রাজামালায় পাঠানো হয়েছে।
ও দিকে, একনাগাড়ে দু’দিন অতি প্রবল বর্ষণের পর এ দিন মুম্বইয়ে বৃষ্টি কিছুটা কমেছে। রাজ্যের কোথায় কতটাী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, অবিলম্বে তা খতিয়ে দেখার জন্য তাঁর সচিবালয়ের কর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।