কেরলে ধ্বংসস্থল থেকে পশুদের উদ্ধার করা হচ্ছে। ছবি: পিটিআই।
ভূমিধসে বিধ্বস্ত কেরলে পশুদের জন্যও পৃথক একটি কন্ট্রোল রুম খুলল কেরল সরকার। চূড়ালমাল গ্রামে ২৪ ঘণ্টার ওই কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বিপর্যস্ত এলাকা থেকে যে সমস্ত পশুদের জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হচ্ছে, সেগুলিকে এই কন্ট্রোল রুমে পাঠানো হচ্ছে। সেখানে তাদের চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে খাবার এবং জল। পশুরা সুস্থ হয়ে উঠলে তাদের পশুপালকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সরকার। যাঁরা ওই পশুদের নিতে ইচ্ছুক, তাঁরা সরকারের কাছে আবেদনও জানাতে পারবেন। কাদের কাছে কোন পশু দেওয়া হচ্ছে, তা নথিবদ্ধ রাখা হবে।
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন শনিবার এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘ভূমিধসের পর বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়া পশুদের মাথার উপর ছাদ দেওয়া হচ্ছে। আর অসহায় হয়ে ওদের থাকতে হবে না।’’ পশুর পাশাপাশি পাখিদেরও উদ্ধার করে ওই কন্ট্রোল রুমে রাখা হচ্ছে।
কেরল সরকারের এই কন্ট্রোল রুমে মূলত বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী এবং অসরকারি সংগঠনগুলি কাজ করছে। শনিবারও চূড়ালমালের ধ্বংসস্তূপ থেকে দু’টি কুকুরছানাকে উদ্ধার করে সেনবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাদেরও পাঠানো হয়েছে সরকারি কন্ট্রোল রুমে।
কেরল সরকারের কন্ট্রোল রুমে একাধিক পশু চিকিৎসক রয়েছেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট পশু বা পাখিকে খাঁচায় ভরে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। বড় পশুদের ক্ষেত্রে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
গত ২৯ জুলাই রাতে ওয়েনাড়ের পাহাড়ি এলাকায় আচমকা ধস নামে। চারটি গ্রাম সেই বিপর্যয়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩০০-র গণ্ডি। এখনও উদ্ধারকাজ চলছে। ধ্বংসস্তূপ থেকে একের পর এক দেহ উদ্ধার করা হচ্ছে। উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। রয়েছে ভারতীয় সেনার জওয়ানেরাও।