Israel-Iran Conflict

ইজ়রায়েলে পর পর রকেট, হামলার ঝাঁজ বৃদ্ধি করছে হামাসের বন্ধু গোষ্ঠী, নতুন সংঘাতে তপ্ত পশ্চিম এশিয়া

ইরান সমর্থিত হামাসের বন্ধু গোষ্ঠী ইজ়রায়েলের উপর নতুন করে রকেট হামলা চালিয়েছে। যদিও ইজ়রায়েলের দাবি, তাদের অত্যাধুনিক ডোম সিস্টেমের মাধ্যমে অধিকাংশ রকেট গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২৪ ০৮:০৫
Share:

ইজ়রায়েলে রকেট হামলা চালিয়েছে হিজ়বুল্লা। —ফাইল চিত্র।

ইজ়রায়েলের উপর নতুন করে রকেট হামলা শুরু করল লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজ়বুল্লা। এই গোষ্ঠীকে ইরান সহায়তা করে থাকে। ইরানে হামাসের রাজনৈতিক বিভাগের প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার পর আক্রমণের ঝাঁজ বাড়িয়ে দিয়েছে সব পক্ষই। স্থানীয় সময় অনুযায়ী শনিবার হিজ়বুল্লার রকেট মুহুর্মুহু আছড়ে পড়ে ইজ়রায়েলের মাটিতে। তাতে বেশ কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি। হামলার দায় স্বীকার করে হিজ়বুল্লা জানিয়েছে, ইজ়রায়েলের কয়েক জন সাধারণ নাগরিকও এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। যদিও ইজ়রায়েলের দাবি, তাদের অত্যাধুনিক ডোম সিস্টেমের মাধ্যমে হিজ়বুল্লার ছোড়া অধিকাংশ রকেট মাটি ছোঁয়ার আগেই গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

ইজ়রায়েল এবং প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে যুদ্ধ চলছিলই। তাতে অন্যান্য গোষ্ঠীর ইন্ধনও ছিল। কখনও কখনও সক্রিয় ভাবেও হামাসের পাশে দাঁড়িয়ে ইজ়রায়েলকে আক্রমণ করেছে লেবাননের হিজ়বুল্লা বা ইয়েমেনের হুথিরা। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনাবলি পশ্চিম এশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতির চরিত্র বদলে দিয়েছে। ইরানে হামাসের রাজনৈতিক বিভাগের প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার পর সংঘাত তীব্রতর হয়েছে। পশ্চিম এশিয়ায় নতুন সংঘাত আরও প্রকট হতে চলেছে বলে আশঙ্কা করছেন পর্যবেক্ষকেরা। এই সংঘাতে ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে নামতে পারে ইরান। যে আশঙ্কা করে তৎপর হয়েছে আমেরিকাও।

হিজ়বুল্লার তরফে হামলার কারণ হিসাবে হানিয়া হত্যার কথা উল্লেখ করা হয়নি। তারা জানিয়েছে, সম্প্রতি লেবাননের দুই গ্রামে ইজ়রায়েলের রকেট বর্ষণ এবং হিজ়বুল্লার সামরিক বাহিনীর সিনিয়র কমান্ডারকে হত্যার বদলা নিতে এই হামলা চালানো হয়েছে। আগামী দিনে আরও বড় হামলার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। হিজ়বুল্লার হামলায় কোনও প্রাণহানির কথা স্বীকার করেনি ইজ়রায়েল।

Advertisement

ইজ়রায়েল এবং হামাসের যুদ্ধে প্রথম থেকেই ইজ়রায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছিল আমেরিকা। হানিয়া হত্যার পর ইরান বদলা নিতে পারে বলে আশঙ্কা করে আগেভাগেই তারা পশ্চিম এশিয়ায় মোতায়েন করা সেনার সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই পরিস্থিতিতে ইরানকে সংযত থাকতে বলেছেন। তাঁর আশা, হানিয়া হত্যার প্রতিশোধ নিতে বড় কোনও পদক্ষেপ করে পশ্চিম এশিয়ার শান্তি বিঘ্নিত করবে না ইরান। তবে পর্যবেক্ষকদের মতে, পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি ক্রমে আরও জটিল হচ্ছে। ইরান হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে ইরান-ইজ়রায়েল সংঘাত এবং আমেরিকার হস্তক্ষেপ আগামী দিনে যুদ্ধ পরিস্থিতিকে তীব্রতর করতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement