গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে (সিএএ) অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হোক, এই আর্জি জানিয়েই মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করল কেরল সরকার। গত বছরের ডিসেম্বরে বিধানসভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিএএ বাতিলের প্রস্তাব পাশ করিয়ে নিয়েছিল পিনারাই বিজয়নের সরকার।
বিজয়ন বলেন, “স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই আমাদের রাজ্যে কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প করতে দেব না। ধর্মনিরপেক্ষতার একটা নিদর্শন এই রাজ্য। শুরু থেকেই এ রাজ্যে গ্রিক, রোমান, আরবীয়, খ্রিস্টান, মুসলিম সব সম্প্রদায়ের মানুষ একত্রে বাস করছেন। এটা আমাদের ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্যকে কখনওই নষ্ট হতে দেব না।”
সিএএ প্রয়োগ করে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার খর্ব করার চেষ্টা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন বিজয়ন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সংসদের দুই কক্ষে সিএএ পাশ হওয়ার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে একটা আশঙ্কার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে এই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছে। কেরলেও এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছে।”
আরও পড়ুন: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের পাশে নেই বঙ্গ: সমীক্ষা
আরও পড়ুন: এনপিআর রুখুন, বিরোধী বৈঠকে ডাক সনিয়াদের
সিএএ নিয়ে দেশ জোড়া প্রতিবাদ,আন্দোলন চলছে বেশ কয়েক দিন ধরেই। এই আইন বাতিলের দাবিতে হাজার হাজার মানুষ পথে নেমেছেন। সিএএ-কে অসাংবিধানিক এবং ধর্মীয় বিভাজনের আইন হিসাবে চিহ্নিত করেছে বিরোধী দলগুলো। সংসদে সিএএ পাশ হওয়ার পরেই তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, এই আইন অসাংবিধানিক। কোনও ভাবেই এই আইনের প্রয়োগ হতে দেব না কেরলে। অভিযোগ তোলেন, আরএসএস-এর নীতি মেনে এই আইন পাশ করিয়ে ধর্মীয় বিভাজনের চেষ্টা করছে বিজেপি।
এর পরই বিধানসভায় সিএএ বাতিলের প্রস্তাবও পাশ করিয়ে নেন বিজয়ন। কেরলের রাজ্যপাল সরকারের এই প্রসঙ্গে বলেছিলেন, রাজ্য সরকারের এ ধরনের পদক্ষেপের কোনও আইনি বৈধতা নেই। কারণ এই আইন সম্পূর্ণ কেন্দ্রের বিষয়।