গাড়িতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু দম্পতির। প্রতীকী ছবি।
দাউদাউ করে জ্বলছিল গাড়িটা। ভিতরে আটকে এক ব্যক্তি এবং তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। বাঁচানোর জন্য আর্ত চিৎকার করছিলেন। এই দৃশ্য দেখে পথচারীরা ছুটে এসে গাড়ির সামনের দরজা ভেঙে দম্পতিকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। তত ক্ষণে আগুনের দাপট আরও বেড়ে গিয়েছিল। দরজা ভাঙার শত চেষ্টা করেও পারেননি পথচারীরা। শেষমেশ হাল ছেড়ে দিয়ে অসহায়ের মতো দম্পতিকে ঝলসে যেতে দেখলেন তাঁরা। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের কান্নুরে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার কান্নুরের জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছিলেন ওই দম্পতি। তাঁদের সঙ্গে এক শিশু-সহ আরও চার জন ছিলেন। ওই চার জন গাড়ির পিছনের আসনে বসে ছিলেন। কুট্টায়াট্টুর থেকে কান্নুরে যাচ্ছিলেন তাঁরা। কিন্তু মাঝপথেই চলন্ত গাড়িতে আগুন ধরে যায়। গাড়ির পিছনের আসনে বসে থাকা আরোহীরা কোনও রকমে দরজা খুলে বেরিয়ে আসতে পারলেও গাড়ির ভিতরে আটকে পড়েন দম্পতি। মুহূর্তেই গাড়ির সামনের অংশে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে যায়। এই দৃশ্য দেখে পথচারীরা দম্পতিকে বাঁচানের জন্য এগিয়ে আসেন। তাঁদের মধ্যে কয়েক জন দরজা ভেঙে দম্পতিকে বার করার চেষ্টা করেন। কিন্তু আগুন এত ছড়িয়ে গিয়েছিল যে তাঁরা দরজা ভাঙতে ব্যর্থ হন।
পথচারীদের এক জন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “গাড়ির সামনের অংশে আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছিল। বার কয়েক দরজা ভাঙার চেষ্টা করি। কিন্তু পারিনি। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল। গাড়ির তেলের ট্যাঙ্কে আগুন ধরে গিয়েছিল। বিস্ফোরণ হওয়ার আশঙ্কায় আমরা পিছিয়ে আসি। চোখের সামনে দু’জনকে পুড়ে মরতে দেখলাম অসহায়ের মতো।”
পুলিশ জানিয়েছে, গাড়িতে কী ভাবে আগুন লাগল ফরেন্সিক পরীক্ষার পর জানা যাবে। পিছনের আসনে বসে থাকা আরোহীদের সামান্য চোট লেগেছে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।