সাফল্যের জের, কেরলে রদবদলের চিন্তা কংগ্রেসে

লোকসভা ভোটে এ বার কেরলের ২০টি আসনের মধ্যে ১৯টিই জিতেছে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ফ্রন্ট ইউডিএফ। তার মধ্যে একক ভাবে কংগ্রেসের আসন ১৫।

Advertisement

সন্দীপন চক্রবর্তী

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৯ ০১:৩০
Share:

প্রতীকী ছবি।

হারের ধাক্কায় বেসামাল অবস্থা বেশির ভাগ রাজ্যে। কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে স্বয়ং রাহুল গাঁধী ইস্তফা দেওয়ার পরে পদত্যাগের হিড়িক চলছে নানা জায়গায়। এর একেবারে উল্টো পথে গিয়ে সাফল্যের অভিঘাতে সংগঠনে রদবদলের ভাবনা ভাবতে হচ্ছে কেরলের কংগ্রেসকে!

Advertisement

লোকসভা ভোটে এ বার কেরলের ২০টি আসনের মধ্যে ১৯টিই জিতেছে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ফ্রন্ট ইউডিএফ। তার মধ্যে একক ভাবে কংগ্রেসের আসন ১৫। বিজয়ী সাংসদদের মধ্যে এ বার রয়েছেন এমন বেশ কয়েক জন, যাঁরা প্রদেশ কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন। ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি মেনে এখন প্রদেশ স্তরে রদবদল আনার চেষ্টা করছেন কেরলের কংগ্রেস নেতৃত্ব। দক্ষিণী এই রাজ্যের ওয়েনাড থেকে রাহুল সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পরে ওই কেন্দ্রের সংলগ্ন তিন জেলার কংগ্রেস নেতারা দিল্লি গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এখন থেকেই দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করে দেওয়ার পরামর্শ তাঁদেরও দিয়েছেন রাহুল।

কেরল প্রদেশ কংগ্রেসের দুই কার্যকরী সভাপতি কে সুধাকরন এবং কোডিকুন্নিল সুরেশ লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছেন। সাত বারের সাংসদ সুরেশকে লোকসভায় দলের সচেতকও করা হয়েছে, দলের নেতা হয়েছেন বাংলার অধীর চৌধুরী। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সুরেশ ও সুধাকরন দু’জনেই রাজ্য স্তরের দায়িত্ব ছেড়ে দিতে পারেন। চালাকুডি কেন্দ্র থেকে সাংসদ হয়ে যাওয়ায় বেনি বেহানন দলকে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি এর পর থেকে ইউডিএফের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালনে অপারগ। ফলে, ওই পদে অন্য কাউকে বেছে নেওয়া হবে।

Advertisement

পালাক্কাড ও ত্রিশূর জেলার দুই দলীয় সভাপতি ভি কে শ্রীকান্দন এবং টি এন প্রতাপও এ বার লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছেন। জেলায় সংগঠনের কাজে তাঁরা আর পূর্ণ সময় দিতে পারবেন না। তাই সেখানেও নতুন করে ভাবতে হচ্ছে কংগ্রেসকে। দলের প্রদেশ সভাপতি মুল্লাপল্লি রামচন্দ্রনের বক্তব্য, ‘‘আগামী ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ইউডিএফের জয়ের সম্ভাবনা প্রবল। সেই পথে ঠিক ভাবে এগোতে সংগঠনকে যেমন ভাবে সাজানোর দরকার, তা-ই করা হবে।’’

বিরোধী দলনেতা রমেশ চেন্নিথালাকেই পরের বিধানসভা ভোটে মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার হিসেবে রেখে ভোটে জেতে চায় ইউডিএফ। কংগ্রেস সূত্রের খবর, চেন্নিথালার সঙ্গে কেরলের প্রাক্তন সাংসদ তথা এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল নিজেদের মধ্যে সমন্বয় রেখে সংগঠন পুনর্বিন্যাসের কাজ দেখভাল করবেন। সংশ্লিষ্ট বিধায়কেরা লোকসভা ভোটে জিতে সাংসদ হয়ে যাওয়ায় কেরলের ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনও আসন্ন। লোকসভা ভোটের সাফল্য উপনির্বাচনে ধরে রাখাও আপাতত পরীক্ষা চেন্নিথালা, রামচন্দ্রনদের।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement