ই পি জয়রাজন ফাইল চিত্র।
মন্ত্রিসভা এবং রাজ্য সিপিএমের পরে এ বার বামেদের ফ্রন্ট এলডিএফের রাশও নিজের হাতে নিয়ে এলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। সে রাজ্যে এলডিএফের নতুন আহ্বায়ক করা হল সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ই পি জয়রাজনকে। যিনি ‘বিজয়ন- ঘনিষ্ঠ’ নেতা হিসেবেই দলে পরিচিত। বিজয়নের প্রথম মন্ত্রিসভায় জয়রাজন ছিলেন শিল্পমন্ত্রী। এ বারের রাজ্য সম্মেলনে জয়রাজনের মাধ্যমে ঘুঁটি সাজিয়েই কেরল সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতে বিজয়নের ‘পছন্দে’র নানা মুখ আনা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রের ব্যাখ্যা। সিলভার লাইন প্রকল্প নিয়ে যখন বিতর্ক বাড়ছে, সেই সময়ে জয়রাজনকে এলডিএফের আহ্বায়ক পদে রেখে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজয়নের সুবিধা হবে বলেই বাম সূত্রের মত।
সদ্যসমাপ্ত পার্টি কংগ্রেসে সিপিএমের পলিটবুরোয় গিয়েছেন এ বিজয়রাঘবন। তাঁকে দিল্লিতে বেশি সময় কাজে লাগানো হবে বলে বিজয়রাঘবন এলডিএফের আহ্বায়ক পদ ছে়ড়ে দিয়েছেন। তিরুঅনন্তপুরমে সোমবার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে এলডিএফের নতুন আহ্বায়ক হিসেবে জয়রাজনের নাম চূড়ান্ত হয়েছে। সিপিএম সূত্রের ইঙ্গিত, মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নের রাজনৈতিক সচিব পদেও বদল আসন্ন। ওই দায়িত্বে ফেরানো হতে পারে প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ই কে নায়নারের রাজনৈতিক সচিব পি শশীকে। আবার ‘সফল’ ভাবে পার্টি কংগ্রেস আয়োজন করার পরে কান্নুরের জেলা সম্পাদক এম ভি জয়রাজনও ওই দায়িত্বে যেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে জেলা সম্পাদক পদেও পরিবর্তন হবে।