পিনারাই বিজয়ন। ফাইল চিত্র।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ তুলেছিলেন আগেই। এ বার বিধানসভা ভোটের মুখে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির ‘অতি সক্রিয়তা’ নিয়ে সরব হলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা পিনারাই বিজয়ন। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘ভোটের মুখে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে কাজে লাগাচ্ছে বিজেপি।’’
এই পরিস্থিতিতে আইনের শাসন নিশ্চিত করতে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজয়ন। বিধানসভা ভোটে আগে সোনা পাচার-কাণ্ডের তদন্তে সিবিআইয়ের সক্রিয়তাই বিজয়নের উষ্মার কারণ বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিদের একাংশ।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহির কনসুলেটের মাধ্যমে কূটনৈতিক রক্ষাকবচের আড়ালে সোনা পাচারের ঘটনা গত বছর সামনে এসেছিল। ওই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় বিজয়নের দফতরের তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রচার সংক্রান্ত বিভাগের প্রাক্তন আধিকারিক স্বপ্না সুরেশকে। ওই মামলার জেরে মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নের প্রাক্তন প্রধান সচিব এম শিবশঙ্করকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। ঘটনার জেরে কেরলের এক মন্ত্রীর নামও উঠে আসে।
ঘটনার অনুসন্ধানে নেমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) তার প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে সোনা পাচার কাণ্ডের পিছনে জঙ্গি যোগাযোগ থাকতে পারে বলে আদালতকে জানায়। পাশাপাশি, ঘটনার পিছনে ‘রাজনৈতিক যোগাযোগ’ রয়েছে বলেও দাবি করে। এমনকি, সোনা-কাণ্ডে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনে পদক্ষেপেরও সুপারিশ করে। চলতি মাসে স্বপ্না কেরল হাইকোর্টে দেওয়া জবানবন্দিতে জানান, মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নের অনুরোধেই রাজ্যে বিদেশি মুদ্রা পাচার করা হয়েছে। কেরল বিধানসভার স্পিকার শ্রীরামকৃষ্ণন এবং রাজ্যের তিন মন্ত্রী বিদেশি মুদ্রা পাচারে যুক্ত বলে জানান তিনি। এর পরেই ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক যড়যন্ত্রের দাবি তোলে সিপিএম।
কিন্তু গত সপ্তাহে কোচির বিশেষ এনআইএ আদালত জঙ্গি যোগের বিষয়ে ‘সুনির্দিষ্ট তথ্য’ চেয়েছে তদন্তকারী সংস্থার কাছে। এর পরেই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন বিজয়ন। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের ভয় দেখানো যাবে না। কারণ, আমাদের সরকার কোথাও কোনও দুর্নীতিতে যুক্ত নয়। রাজনৈতিক কারণেই বিজেপি বিধানসভা ভোটের আগে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে জল ঘোলা করতে চাইছে।’’