পিনারাই বিজয়ন এবং আরিফ মহম্মদ খান — ফাইল চিত্র।
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের সংঘাত নতুন নয়। কোনও না কোনও ইস্যুতে দু’পক্ষের মধ্যে বিতণ্ডা লেগেই আছে। শনিবার রাজ্যপালকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান, ‘কালো পতাকা’ দেখানোর ঘটনা সংঘাতের মাত্রা আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে আরিফ মহম্মদের উগরে দেওয়া ক্ষোভের পাল্টা জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই। তিনি বলেন, ‘‘কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নন।’’
শনিবার কেরলের কোল্লাম জেলায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন আরিফ মহম্মদ। তাঁর কনভয় নীলমেন এলাকায় পৌঁছতেই বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। রাজ্যের শাসকদলের ছাত্র সংগঠন এসএফআই-এর সদস্যরা রাজ্যপালকে দেখে ‘গো ব্যাক স্লোগান’ স্লোগান তোলেন। আর তাতেই রেগে যান আরিফ। গাড়ি থেকে নেমে রাস্তার পাশে ধর্নায় বসে পড়েন। অবিলম্বে বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
শুধু তা-ই নয়, এ হেন ঘটনার জন্য পুলিশ এবং প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলেছেন রাজ্যপাল। সেই অভিযোগের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘‘এ বার থেকে সিআরপিএফ কি সরাসরি কেরল শাসন করবে? রাজ্যপাল যে ভাবে চাইবেন সিআরপিএফ কি সে পথে কাজ করবে?’’
মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, ক্ষমতায় যাঁরা থাকবেন, তাঁদের মানুষের এমন বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। তবে এ ধরনের বিক্ষোভে প্রতিক্রিয়া জানাতে কিছু ‘পদ্ধতি’ অবলম্বন করতে হয়। বিজয়ন বলেন, ‘‘উনি (আরিফ মহম্মদ) প্রশ্ন করেছিলেন এমন প্রতিবাদের সামনে পড়লে মুখ্যমন্ত্রী কী করতেন? আমি অনেক যাতায়াত করি, কিন্তু কখনও কি রাস্তায় নেমে দেখেছি যে ওই রুট আমার জন্য ঠিক আছে কি না? এটা কি নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে নয়?’’
রাজ্যপালের রাস্তায় নেমে পড়ার ঘটনাকে কটাক্ষ করে বিজয়ন বলেন, ‘‘বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কী ব্যবস্থা নিচ্ছে তা দেখার জন্য গাড়ি থেকে কাউকে নেমে আসতে দেখেছেন কি?’’ রাজ্যপাল পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। পাশাপাশি নিজের সঙ্গে পুলিশি নিরাপত্তা রাখতেও অস্বীকার করেছেন। যা নিয়ে বিজয়ন বলেন, ‘‘রাজ্যপাল এক বার বলেছিলেন কেরল পুলিশ সেরা, তা হলে তারা কি তাঁর জন্য যথেষ্ট নয়? কেরল বা ভারত কি কখনও এক জন উচ্চপদস্থ ব্যক্তিকে এমন ব্যবহার করতে দেখেছেন?’