পদত্যাগী আপ নেতা আশুতোষ। —ফাইল চিত্র
স্বাধীনতা দিবসের দিন বড়সড় ধাক্কা খেল আম আদমি পার্টি। আজ ‘ব্যক্তিগত কারণ’ দেখিয়ে ইস্তফা দিলেন দলীয় নেতা আশুতোষ। যদিও রাত পর্যন্ত ইস্তফা গ্রহণ করেননি মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। তিনি জানিয়েছেন, এ জীবনে ওই ইস্তফা গ্রহণ করার প্রশ্নই নেই। যদিও অনড় আশুতোষ পাল্টা জানিয়েছেন, ইস্তফা ফেরানোরও কোনও প্রশ্নই নেই।
আপের একাংশ অবশ্য এতে আদৌ অবাক নন। দলের পক্ষ থেকে রাজ্যসভার সাংসদ পদে আশুতোষের নাম নির্বাচিত না হওয়ার পর থেকেই বেশ কিছু দিন ধরে বেসুরে বাজছিলেন প্রাক্তন সাংবাদিক আশুতোষ। গত তিন মাস বই লেখার জন্য দলের কাজ থেকে ছুটি নিয়েছিলেন। তার পরেই আজ টুইট করে ইস্তফার কথা জানান। টুইটে তিনি লেখেন, ‘‘প্রত্যেকটি যাত্রা এক সময়ে শেষ হয়। আপের সঙ্গে আমার যে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল তা এ বার শেষ হল। আমি দল থেকে ইস্তফা দিলাম। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কারণে ইস্তফা দিচ্ছি।’’
এর পরেই মানভঞ্জনে মাঠে নামেন আপ নেতারা। যেমন সঞ্জয় সিংহ বলেন, ‘‘দল আশুতোষকে ইস্তফা ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাবে।’’ আর মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবাল স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘‘ইস্তফা গ্রহণ করার কোনও প্রশ্নই নেই। অন্তত এ জীবনে আশুতোষের ইস্তফা আমি গ্রহণ করব না।’’
তবে দলের একাংশ বলছে, গত জানুয়ারি মাসে রাজ্যসভার নির্বাচনের সময় থেকেই আশুতোষের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে কেজরীবাল শিবিরের। সূত্রের খবর, জানুয়ারি মাসে হওয়া দিল্লির রাজ্যসভা নির্বাচনে প্রাথমিক তালিকায় আশুতোষের নাম ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যে তিন প্রার্থীকে দল বেছে নেয়, তাতে সঞ্জয় সিংহ
ছাড়াও ছিলেন দিল্লির ব্যবসায়ী সুশীল গুপ্ত ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট এন ডি গুপ্ত। এর মধ্যে রাজনৈতিক কর্মী সঞ্জয়কে বেছে নেওয়া নিয়ে প্রশ্ন না উঠলেও, যে ভাবে সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক দুই ব্যক্তিকে রাজ্যসভায় পাঠানো হয় তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বিরোধীরা অভিযোগ তোলে, কেজরীবাল দলের তহবিল ভরার জন্য ওই দু’জনকে রাজ্যসভায় পাঠান। এ নিয়ে দলের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় শাস্তির মুখে পড়েন কেজরীবালের প্রাক্তন সতীর্থ কুমার বিশ্বাস। পরে পদত্যাগ করেন তিনি। কুমার আজ আশুতোষের উদ্দেশে টুইট করে বলেন, ‘‘স্বাধীনতা পাওয়ার জন্য অভিনন্দন।’’