ছবি: পিটিআই।
নববর্ষের প্রথম দিনে কাশ্মীরে এসএমএস আর সরকারি হাসপাতালের ব্রডব্যান্ড পরিষেবা চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন। কিন্তু আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত একমাত্র বিএসএনএল ও জিয়ো ছাড়া অন্য কোনও মোবাইল সংস্থার গ্রাহকদের পোস্টপেড ফোনে এসএমএস চালু হয়নি। বন্ধ রয়েছে সরকারি হাসপাতালের ব্রডব্যান্ডও। বাসিন্দাদের একাংশের মতে, প্রশাসন ফের কাশ্মীরিদের সঙ্গে ‘নিষ্ঠুর রসিকতা’ করেছে।
জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের মুখপাত্র রোহিত কানসাল বলেছিলেন, ‘‘৩১ ডিসেম্বর মাঝরাত থেকে এসএমএস পরিষেবা ও সরকারি হাসপাতালে ব্রডব্যান্ড চালু করা হবে।’’ কিন্তু আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত বিএসএনএল ও জিয়ো ছাড়া অন্য কোনও মোবাইল সংস্থার গ্রাহকেরা এসএমএস পাঠাতে পারেননি। পুরনো শ্রীনগর এলাকার বাসিন্দা উমর বাটের মতো গ্রাহকদের দাবি, ‘‘এয়ারটেল বা অন্য কোনও সংস্থার নেটওয়ার্কে এসএমএস পাঠানো যাচ্ছে না। আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে এসএমএস পাঠাতে চাইছি। কিন্তু পাঠানো যাচ্ছে না। এমনকি ব্যাঙ্কের লেনদেন সংক্রান্ত ওটিপি-ও পাচ্ছি না।’’ ডালগেটের বাসিন্দা মহম্মদ ইশতিয়াকের মতে, ‘‘প্রশাসন ফের নিষ্ঠুর রসিকতা করল। অনেক ঘটা করে এই পদক্ষেপ করার কথা ঘোষণা করা হল। কিন্তু পরিষেবা পুরোপুরি চালু হল না।’’
আরও পড়ুন: রান্নার গ্যাসে লাফ, ‘মোদীর উপহার’!
এক মোবাইল সংস্থার নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক বলেন, ‘‘সরকারি নির্দেশ না পেলে এসএমএস পরিষেবা চালু করা সম্ভব নয়। তেমন কোনও নির্দেশ আসেনি।’’ অন্য এক মোবাইল সংস্থার আধিকারিকদের দাবি, ‘প্রযুক্তিগত অসুবিধে’র জন্যই এমন ঘটনা ঘটেছে। সরকারি হাসপাতালগুলিতেও ব্রডব্যান্ড চালু হয়নি বলে জানিয়েছেন খোদ স্বাস্থ্য পরিষেবার অধিকর্তা সামির মাট্টু।
রোহিত কানসাল অবশ্য গত কাল দাবি করেন, প্রশাসন যত দ্রুত সম্ভব পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে। পড়ুয়া, পর্যটন ব্যবসায়ী, ঠিকাদার, সরকারি আধিকারিকদের সুবিধের জন্য কাশ্মীরের বিভিন্ন জেলায় প্রায় ৯০০টি ‘ইন্টারনেট টাচ পয়েন্ট’ ও বিশেষ কাউন্টার খোলা হয়েছে। প্রায় ৬ লক্ষ মানুষ সেই পরিষেবা ব্যবহার করেছেন বলেও দাবি করেন কানসাল।
উপত্যকায় ইন্টারনেট পুরোপুরি চালু করা নিয়ে ফের সরব হয়েছে কাশ্মীর প্রেস ক্লাব। আজ প্রেস ক্লাবে সম্পাদক ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের এক বৈঠকের পরে প্রেস ক্লাবের তরফে এ নিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। তাতে জানানো হয়েছে, ইন্টারনেট বন্ধ থাকার ফলে উপত্যকায় সংবাদপত্রের প্রকাশ বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। তাই এখনই ওই পরিষেবা চালু করা প্রয়োজন।