ছবি— পিটিআই।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের। তাঁর মৃত্যুদণ্ডের আবেদন করেছিল এনআইএ। ইয়াসিনের আইনজীবী যাবজ্জীবনের আবেদন রাখেন। গত ১৯ মে দিল্লির এনআইএ আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বিচারক শাস্তির সিদ্ধান্ত রিজার্ভ রাখেন। তা বুধবার ঘোষিত হওয়ার কথা ছিল। সেই অনুযায়ী, বুধবার দুপুর সাড়ে তিনটেয় সাজা ঘোষণা করে আদালত। দুটি মামলায় যাবজ্জীবন সাজার পাশাপাশি, ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে আদালত।
ইয়াসিনের সাজা ঘোষণার আগেই শ্রীনগরে বন্ধের পরিবেশ। বন্ধ বেশির ভাগ দোকানপাট। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মোতায়েন আরও ভারী মাত্রায় নিরাপত্তাবাহিনী।
ইয়াসিনের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় জঙ্গি কার্যকলাপ, সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা, জঙ্গি সংগঠনের প্রত্যক্ষ সদস্যপদ গ্রহণ-সহ একাধিক মামলা করা হয়েছিল। এনআইএ আদালতে সওয়াল করে, কাশ্মীরের স্বাধীনতা সংগ্রামের নাম করে একটি বিরাট জঙ্গিজাল বুনেছিলেন ইয়াসিন। বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করে, তা জঙ্গি কার্যকলাপে ব্যবহার করছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। গত ১০ মে ইউপিএ-এর অধীনে নিজের দোষ কবুল করে নিয়েছিলেন ইয়াসিন। ১৯ মে ইয়াসিনকে দোষী সাব্যস্ত করে এনআইএ-র বিশেষ আদালত।
সূত্রের খবর, ইয়াসিন আদালতকে বলেন, তিনি ১৯৯৪ সাল থেকে অস্ত্র ছেড়েছেন। তার পর থেকে মহাত্মা গাঁধীর প্রদর্শিত পথেই চলেছেন। তিনি আরও জানান, এর পর থেকে তিনি আর রাজনীতি করবেন না। তাই আদালত যদি তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেয়, তিনি আপত্তি করবেন না।