কাসগঞ্জে গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা আটকাতে ব্যর্থ হওয়ায় বদলি করা হল এসপি-কে। সংঘর্ষের ঘটনায় রাজ্যপাল রাম নাইকের ক্ষোভ প্রকাশের পরেই পুলিশ কর্তাকে বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। কাসগঞ্জের ঘটনাকে রাজ্যের ‘কলঙ্ক’ আখ্যা দিয়েছেন রাজ্যপাল।
সংঘর্ষ শুরুর ৭২ ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরে পরিস্থিতি ক্রমশ স্বাভাবিক হয়ে আসছে বলেই প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়েছে। তবে শহরে চাপা উত্তেজনা রয়েই গিয়েছে। জায়গায় জায়গায় মোতায়েন র্যাফ, পিএসি। সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইন্টারনেট পরিষেবা ফের চালু করা হচ্ছে বলে প্রশাসনের কর্তারা জানিয়েছেন।
কাসগঞ্জের এসপি সুনীলকুমার সিংহকে সরিয়ে মিরাটে বদলি করা হয়েছে। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব সামলাবেন পীযূষ শ্রীবাস্তব। সুনীলকুমার সিংহের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রজাতন্ত্র দিবসে গোষ্ঠী সংঘর্ষ ঘটার দু’ঘণ্টা পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছন তিনি। সেই সময়ের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল। কয়েকটি দোকান, দু’টি বাস ও একটি গাড়ি জ্বালিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা।
সংঘর্ষ আটকাতে প্রশাসনের এই ব্যর্থতার পরে ক্ষোভ জানিয়েছেন রাজ্যপাল। লখনউয়ে তিনি এ দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘কাসগঞ্জে যা ঘটেছে, তা লজ্জাজনক। এমন ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে না ঘটে, তা সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে।’’
কাসগঞ্জের ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে যোগী সরকার। তবে কংগ্রেস এতে সন্তুষ্ট নয়। দলের নেতা প্রমোদ তিওয়ারি হাইকোর্টের বিচারকের নেত্বত্বে তদন্ত করানোর দাবি তুলেছেন। সংঘর্ষে মৃত চন্দন অভিষেকের পরিবারকে ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন আদিত্যনাথ। তবে টাকা নেওয়ার পরে মৃতের পরিবার চন্দনকে ‘শহিদ’ আখ্যা দেওয়ার দাবি তুলেছে।