বাদুড় থেকেই ছড়ায় নিপা ভাইরাস।
কেরল ছাড়িয়ে নিপা এ বার কর্নাটকের দিকেও পা বাড়িয়েছে। কেরলের কোঝিকোড়ে দশ জনের মৃত্যু এবং ৪০ জনের সংক্রমণের কথা জানা গিয়েছিল। বুধবার কর্নাটকের এক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, সেখানেও অন্তত ২ জন নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
কেরলে প্রথম নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল যে পরিবার, তাঁদের বাড়ির চত্বর থেকে একটি মৃত বাদুড় উদ্ধার হয়েছিল। অনুমান করা হয়েছিল, ওই বাদুড়টি থেকেই নিপা ভাইরাস ছড়িয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রকের পশুপালন দফতরের প্রতিনিধিরা ওই এলাকা পরিদর্শন করে জানাচ্ছেন, ওই মৃত বাদুড়টি থেকে অন্তত রোগ ছড়ায়নি। কারণ প্রাথমিক পরীক্ষায় তাঁরা দেখেছেন, ওই বাদুড়টি ফলাহারী নয়। কেবল ফলাহারী বাদুড়ই নিপা-র সংক্রমণের জন্য দায়ী হতে পারে। কেন্দ্রীয় পশুপালন কমিশনার ড. সুরেশ এস হন্নাপ্পাগল তাই বলছেন, অকারণে আতঙ্কিত হয়ে বাদুড় মারা শুরু করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। মন্ত্রকের চূড়ান্ত রিপোর্ট মিলবে ২৫ মে।
ইতিমধ্যেই ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (এনসিডিসি) এবং এইমসের চিকিৎসক দলও কেরলে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নড্ডা টুইট করে আশ্বাস দিয়েছেন, নিপা সংক্রমণ রুখতে
সমস্ত রকমের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষের কাছে তাঁর আর্জি, ‘‘গুজব ছড়াবেন না, গুজবে কানও দেবেন না।’’
নিপা রোগীর সেবা করতে গিয়ে সম্প্রতি নিজেই রোগাক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন লিনি পুতুসেরি নামে এক নার্স। তাঁর স্বামীকে সরকারি চাকরি দেওয়ার কথা জানিয়েছে সরকার। লিনির দুই ছেলে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ পাবে। এ ছাড়া নিপায় প্রাণ হারানো প্রত্যেকের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। হাসপাতালে ভর্তি
আক্রান্তদেরও চিকিৎসার সমস্ত খরচ সরকার বহন করবে বলে এ দিন আশ্বাস দিয়েছেন কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা।