National News

কর্নাটকে ফের ধাক্কা বিজেপির, পুরভোটে এগিয়ে কংগ্রেস-জেডিএস

ভোট হওয়া ২৬৬৪ আসনের মধ্যে সোমবার দুপুর একটা পর্যন্ত ঘোষিত হয়েছে ২২৬৭ আসনের ফলাফল। তার মধ্যে কংগ্রেস জিতেছে ৮৪৬টি এবং জেডিএস পেয়েছে ৩০৭টি আসন। সেখানে বিজেপির ঝুলিতে ৭৮৮টি আসন। ২৭৭টি আসনে জয় পেয়েছেন নির্দল প্রার্থীরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৪:০৭
Share:

জয়ের খভর পেতেই জেডিএস সমর্থকদের উচ্ছ্বাস। ছবি: টুইটারের সৌজন্যে

কর্নাটকে ফের ধাক্কা খেল বিজেপি। কয়েক মাস আগেই সরকার গঠন নিয়ে মুখ পুড়েছে গেরুয়া ব্রিগেডের। এবার কার্যত ধরাশায়ী পুরভোটের ফলেও। আলাদা ভাবে লড়েও ভাল ফল কংগ্রেস এবং জনতা দল সেকুলার (জেডিএস)-এর। তবে ভোটের পরে জোটের কথা ঘোষণা করে দিয়েছে দুই শিবিরই। অন্যদিকে ফলাফলের প্রবণতা দেখেই হার স্বীকার করে নিয়েছেন কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা।

Advertisement

এইচ ডি কুমারস্বামীর নেতৃত্বে কর্নাটকে কংগ্রেস-জেডিএস জোট করে সরকার গঠনের পর এই প্রথম বড় কোনও ভোট হল কর্নাটকে। ভোট পরবর্তী জোট করে সরকার গঠন হলেও পুরভোটে আলাদা ভাবেই লড়েছিল কংগ্রেস এবং জেডিএস। গত ২৯ অগস্ট মোট ১০৫টি পুরসভা ও পুর কর্পোরেশনের ভোটগ্রহণ হয়। সোমবার গণনা। সব আসনের গণনা শেষ হয়নি। কিন্তু এর মধ্যেই প্রবণতা দেখে মোটামুটি নিশ্চিত অর্ধেকের বেশি পুরসভা দখল করতে চলেছে কংগ্রেস-জেডিএস জোট।

ভোট হওয়া ২৬৬৪ আসনের মধ্যে কংগ্রেস জিতেছে ৯৭৬টি এবং জেডিএস পেয়েছে ৩৪৮টি আসন। সেখানে বিজেপির ঝুলিতে ৮৯৯টি আসন। ৩০৫টি আসনে জয় পেয়েছেন অন্যান্য ও নির্দল প্রার্থীরা।

Advertisement

২০১৩ সালের পুর নির্বাচনের নিরিখে অবশ্য ভাল ফল করেছে বিজেপি। ৬৮৩ টি থেকে বেড়ে তাদের আসনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৯৯, ১০৭৪ টি থেকে কমে কংগ্রেসের আসনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৭৬, ৩৬১ টি থেকে কমে জেডিএসের আসনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৪৮।

কিছু দিন আগেই হয়ে যাওয়া বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের হিসেব ধরলে অবশ্য অ্যাডভান্ডেজ কংগ্রেসই বলা চলে। কারণ বিধানসভা নির্বাচনে একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এসেছিল বিজেপিই। অনেকটাই পেছনে ছিল কংগ্রেস। সেখানে পুরভোটে এগিয়ে গেল কংগ্রেস। দ্বিতীয় হিসেবেই দৌড় শেষ করল বিজেপি। গেরুয়া ব্রিগেডের উদ্বেগের আরও একটি কারণ, কিছু দিন আগেই বিধানসভা নির্বাচনে শহর এলাকায় খুবই ভাল ফল করেছিল বিজেপি। সেই হিসেব ধরলে এই পুর নির্বাচনে ভাল ফল করার কথা ছিল বিজেপির। কিন্তু দ্বিতীয় স্থানে লড়াই শেষ করায় বিজেপির শহরের ভোটব্যাঙ্কে ধস নামছে, এমনটাই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

আরও পড়ুন: ‘পাইলট! এখনও বিশ্বাসই করেন না অনেকে’

আরও পড়ুন: নিকাহ্ হালালা’র জন্য চাপ, শ্বশুরের ধর্ষণের শিকার হলেন উত্তরপ্রদেশের মহিলা

ফল ঘোষণার পর কংগ্রেস এবং জেডিএস উভয় শিবিরের পক্ষ থেকেই বলা হয়েছে, জোট করে বোর্ড গঠন সম্ভব হলেই তা করা হবে। পাশাপাশি ত্রিশঙ্কু হলে সেখানে প্রয়োজনে জয়ী নির্দল প্রার্থীদের সঙ্গেও সমঝোতার চেষ্টা হবে। অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কর্নাটকের বিরোধী দলনেতা ইয়েদুরাপ্পার বক্তব্য, শাসক জোট ক্ষমতায় রয়েছে বলেই তাঁদের এই ফল। তাছাড়া তাঁদের দলীয় প্রার্থীরাও আশানুরূপ ফল করতে পারেননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement