কর্নাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে সুধাকর। ফাইল চিত্র।
বিধায়করা বহুগামী না একগামী? তা বিচার করে দেখার প্রস্তাব দিলেন কর্নাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে সুধাকর। বললেন, ‘‘২২৫ জন বিধায়কের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েই তদন্ত করে দেখা হোক। তাঁরা বহুগামী না একগামী। দেখা হোক, বিধায়কদের বিবাহ বর্হিভূত কোনও সম্পর্ক আছে কি না।’’ অদ্ভুত এই প্রস্তাব বিধানসভায় উত্থাপিত হওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
এক মন্ত্রীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সম্প্রতি কর্নাটক বিধানসভায় শোরগোল পড়ে যায়। মন্ত্রিসভার এক সদস্যের একটি ভিডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ করে একটি সংবাদ সংস্থা। সেখানে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায় তাঁকে। অভিযোগের পর তিনি পদত্যাগ করলেও আগাগোড়া ভিডিয়োটিকে ভুয়ো বলে দাবি করতে থাকেন। তারপরই বেশ কয়েকজন মন্ত্রিসভার সদস্য তাঁদের বিরুদ্ধে যাচাই না করা কোনও ভিডিয়ো বা খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করেন।
আবেদনের কথা প্রকাশ্যে আসতেই বিরোধী কংগ্রেস দাবি করে, আদালতে আবেদন করা এই মন্ত্রীদের পদত্যাগ করতে হবে। সেই বিষয়েই বিধানসভায় উত্তর দিতে উঠেছিলেন কে সুধাকর। তিনি কংগ্রেস ও জেডিএস বিধায়কদের কটাক্ষ করে বললেন, ‘‘যে কংগ্রেস ও জেডিএস বিধায়করা নিজেদের মর্যাদা পুরুষোত্তম ও শ্রী রামচন্দ্র বলে তুলে ধরতে চাইছেন, তাঁদের আমি একটি চ্যালেঞ্জ জানাতে চাই। আপনাদের সাহস থাকলে ২২৫ জন বিধায়ককে নিয়েই তদন্ত করা হোক। প্রমাণ হয়ে যাক, কাদের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক আছে, কাদের নেই। তদন্তে আমিও থাকব।’’
বিধানসভায় এই কথা বলার পরে স্বাভাবিক ভাবে শোরগোল শুরু হয়। পরে বেরিয়ে এসে সুধাকর সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘প্রত্যেক চরিত্র জানা আছে। কে, কখন মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন কী করেছেন, আমি জানি। সবার বিষয়েই তদন্ত হোক। এটি তো মূল্যবোধের প্রশ্ন, তাই না?’’
সুধাকরের প্রশ্নের উত্তরে কংগ্রেস বিধায়ক শিবকুমার বলেন, ‘‘সুধাকর এত গুরুত্বপূ্র্ণ কথা বলায় আমি খুবই খুশি। আমি দলের সঙ্গে কথা বলে দেখব, এই বিষয়ে কিছু করা যায় কি না। তবে আমার একজনই স্ত্রী, একটাই পরিবার।’’