প্রতীকী চিত্র।
বিয়ে মানেই হাজারো রীতিনীতি। সেই সঙ্গে বিয়ের কেনাকাটা, তোড়জোড় তো আছেই। এত কিছুর মধ্যে আবার বিয়ের ‘রেজিস্ট্রেশন’-এর জন্য সময় মতো সংশ্লিষ্ট অফিসে গিয়ে নাম নথিভুক্ত করানোর ঝামেলাও থাকে। সেই ঝঞ্ঝাট থেকে হবু দম্পতিদের মুক্তি দিতে এ বার বিয়ের ‘রেজিস্ট্রেশন’-এর জন্য নাম নথিভুক্তকরণ প্রক্রিয়া অনলাইনে শুরু হল কর্নাটকে। কংগ্রেস সরকারের এই পদক্ষেপকে ‘স্বাগত’ জানাল বিজেপি।
বৃহস্পতিবার রাজ্যের মন্ত্রী কৃষ্ণা গৌড়া কর্নাটকে ‘অনলাইনে বিবাহ নিবন্ধন’ প্রক্রিয়া চালু করল। রাজ্যের মল্লেশ্বরমের ‘সাব-রেজিস্ট্রি’ অফিস থেকেই উদ্বোধন করা হল নতুন ব্যবস্থাটির। এই মাসের মধ্যেই গোটা রাজ্যে এই নতুন প্রক্রিয়া চালু হয়ে যাবে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, ‘‘রাজ্যে বিয়েতে ‘রেজিস্ট্রেশন’ করার প্রবণতা কম। সেই কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ শুধু অনলাইনে বিবাহ নথিভূক্তিকরণ নয়, বাড়ি বসেই বিয়ের শংসাপত্র হাতে পেয়ে যাবেন দম্পতিরা। হিন্দু বিবাহ আইনের অধীনে দক্ষিণের এই রাজ্যে নতুন ব্যবস্থা চালু হল।
বিশেষ বিবাহ আইনের অধীনে যাঁরা বিয়ে করতে চান, তাঁরাও অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। তবে অনলাইনে প্রয়োজনীয় নথি জমা দেওয়ার পরে ‘রেজিস্ট্রি’ অফিসে যেতে হবে দম্পতিকে। আবার যাঁরা অনলাইনে আধার-সহ প্রয়োজনীয় নথি দিতে অনিচ্ছুক, তাঁদের অফিসে গিয়ে তা জমা করে আসতে হবে।
কর্নাটক সরকারের এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিজেপি যুব মোর্চার জাতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্য। তিনি নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করে বিষয়টি তুলে ধরেছেন। তিনি লেখেন, ‘‘বিবাহ নিবন্ধন প্রক্রিয়াটি ডিজিটাল করে তোলার জন্য কৃষ্ণা গৌড়ার পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই। রাজ্যের মানুষ এতে উপকৃত হবেন। বাড়িতে বসেই নবদম্পতি, তাঁদের বিয়ের শংসাপত্র পেয়ে ষাবেন।’’
তিনি আরও লেখেন, ‘‘শংসাপত্র পেতে আর রেজিস্ট্রি অফিসে দৌড়াতে হবে না।’’ এই ঝামেলার অবসান ঘটায় অনেকেই নিজেদের বিয়ে নথিভুক্ত করার ব্যাপারে উৎসাহ পাবেন বলেও মনে করছেন তেজস্বী।