পিটিআইয়ের তোলা ফাইল ছবি।
কর্নাটকে রাজনৈতিক অশান্তির আঁচ পৌঁছল লোকসভায়। কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের অভিযোগ, ওই দক্ষিণী রাজ্যে অ-বিজেপি সরকার ভাঙতে ঘোড়া কেনাবেচায় মদত দিচ্ছে কেন্দ্রের প্রধান শাসক দল। ওই অভিযোগ উড়িয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের দাবি, কর্নাটকের ঘটনার সঙ্গে কেন্দ্রের কোনও সম্পর্কে নেই। তাঁর খোঁচা, ‘‘কংগ্রেসে পদত্যাগ করা তো রাহুল গাঁধীজি শুরু করেছেন।’’
লোকসভায় জিরো আওয়ারে আজ কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী অভিযোগ করেন, কর্নাটক এবং মধ্যপ্রদেশে সরকার ভেঙে দিতে ষড়যন্ত্র করছে কেন্দ্র। বিজেপি সরকার গণতন্ত্রের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে বলে অভিযোগ করে তাঁর কটাক্ষ, ‘‘লোকসভা নির্বাচনে আপনারা ৩০৩টি আসন পেয়েছেন। তাতেও পেট ভরেনি। এখন মনে হয়, কাশ্মীরি গেট এবং আপনাদের পেট আকারে সমান।’’ ডিএমকের টি আর বালু ও তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও কর্নাটকের পরিস্থিতি নিয়ে সরব হন।
ওই সময় লোকসভায় উপস্থিত ছিলেন সনিয়া এবং রাহুল গাঁধী। তাঁদের সামনেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘কর্নাটকে এখন যা হচ্ছে, তার সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা অন্য কোনও দলের সাংসদ বা বিধায়কের উপর চাপ তৈরি করে বা প্রলোভন দেখিয়ে দলবদল করাই না। সংসদীয় গণতন্ত্রের মর্যাদা বজায় রাখতে আমরা দায়বদ্ধ বলেই ওই কাজ করি না।’’ অধীর অভিযোগ করেন, বিধায়কদের পদত্যাগ করিয়ে তাঁদের পাঁচতারা হোটেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। জবাবে রাজনাথের কটাক্ষ, ‘‘কংগ্রেসে পদত্যাগ করা তো রাহুল গাঁধীজি শুরু করেছেন। উনিই নিজের দলের লোকেদের পদত্যাগ করতে বলেছেন। আর বড় বড় নেতারা ইস্তফা দিচ্ছেন।’’ রাজনাথের জবাবে সন্তুষ্ট না হয়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন বিরোধীরা। যার জেরে মধ্যাহ্নভোজ পর্যন্ত সভা মুলতুবি করে দেন স্পিকার।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজ সকালে কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বরের বাড়িতে দলের মন্ত্রী, বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন সিদ্দারামাইয়া, কে সি বেণুগোপালের মতো কংগ্রেস নেতারা। ঘোড়া কেনাবেচা রুখতে বেঙ্গালুরুর একটি রিসর্টে নিয়ে যাওয়া হয়েছে জেডিএস বিধায়কদের। ১৩ জন ‘বিক্ষুব্ধ’ বিধায়ক আজ মুম্বই থেকে গোয়ায় গিয়ে ঘাঁটি গেঁড়েছেন। কংগ্রেসের সাসপেন্ডেড বিধায়ক রোশন বেগ জানিয়েছেন, ইস্তফা দিয়ে তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।