জেলাশাসকের দরবারে চিঠি দিলেন সাঙ্গাপ্পা (বাঁ দিকে)। ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)।
জনগণের অভাব-অভিযোগ শোনার জেলাশাসকের জনসংযোগ শিবির। সেই শিবিরে এক অদ্ভুত আর্জি নিয়ে হাজির হয়েছেন এক কৃষক। জেলাশাসকের কাছে তাঁর আবেদন, ‘‘বিয়ে করতে চাই। পাত্রী খুঁজে দিতে হবে।’’
কর্নাটকের কোপ্পাল জেলার জেলাশাসক নলিনী অতুল। জেলার বাসিন্দাদের অভাব-অভিযোগ শোনার জন্য নিয়মিত ‘জনস্পন্দন’ নামে একটি শিবির চালান তিনি। সেই শিবিরেই দরখাস্ত হাতে হাজির হয়েছেন ওই কৃষক। নলিনীকে জানিয়েছেন, নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যই তাঁর এই সাহায্য প্রয়োজন।
ওই কৃষকের নাম সাঙ্গাপ্পা। তিনি জানিয়েছেন, ১০ বছর ধরে জীবনসঙ্গিনীর খোঁজ করছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও মেয়েই বিয়ে করতে রাজি হয়নি তাঁকে। চিঠিতে সাঙ্গাপ্পা লিখেছেন, ‘‘আমি দীর্ঘ দিন ধরে পাত্রীর খোঁজ করছি। কিন্তু পাচ্ছি না। দয়া করে আমাকে কোনও ঘটকের মাধ্যমে বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন।’’
জেলাশাসকের ওই শিবিরে প্রতি দিনই নানা সমস্যা নিয়ে হাজির হন এলাকার মানুষ। শিবিরের দায়িত্বপ্রাপ্তেরা সেই সব সমস্যা সমাধানের যথাসাধ্য চেষ্টা করেন। তবে এমন সমস্যার মুখোমুখি এই প্রথম হলেন তাঁরা এবং ওই জেলাশাসক। সাঙ্গাপ্পার আবেদনটি অবশ্য গৃহীত হয়েছে জেলাশাসকের দরবারে। তবে চিঠির বক্তব্য জানাজানি হওয়ার পরে সাঙ্গাপ্পাকে নিয়ে হইচইও শুরু হয়েছে।