এক জন প্রাক্তন। অন্য জন বর্তমান। এই দু’জনের সঙ্গেই আসরে আরও এক জন। কংগ্রেস নেতাদের মতে, তিনি ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রী। মনমোহন সিংহ, নরেন্দ্র মোদী আর রাহুল গাঁধী— এই তিন জনের বাগ্যুদ্ধে জমে উঠল কর্নাটক ভোটের শেষবেলার প্রচার।
সকালেই দিল্লি থেকে মোদী অ্যাপের মাধ্যমে কর্নাটক বিজেপির যুব মোর্চার সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর নিশানায় পূর্বতন মনমোহন সরকার ও কংগ্রেস। মোদীর অভিযোগ, বেকারত্বের সমস্যা কংগ্রেসেরই অবদান। শুধু এই চার বছরে মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েনি। রাজনীতিতে হিংসা আমদানির পিছনেও কংগ্রেসকেই দায়ী করেন তিনি। বলেন, ‘‘ইন্দিরা গাঁধীকে হত্যার পরে সন্ত্রাসের হয়েছিল। তখন থেকেই হিংসা রাজনীতির অঙ্গ হয়ে গিয়েছে।’’
প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, তিনি নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে দেশকে জুড়তে চান। তবে আধার, ইভিএম নিয়ে মিথ্যে বোঝাচ্ছে কংগ্রেস। কর্নাটকে পৌঁছে মোদীর জবাব দেন মনমোহন। বেঙ্গালুরুতে সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘‘বিরোধীদের আক্রমণ করতে গিয়ে মোদী এমন সব নিচু স্তরের কথা বলেন, যা এক জন প্রধানমন্ত্রীর শোভা পায় না। অতীতে কেউ এমন করেননি।’’ মোদীর বিরুদ্ধে সমাজে মেরুকরণ ও আর্থিক অব্যবস্থা তৈরির অভিযোগ আনেন মনমোহন। তাঁর দাবি, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে টালমাটাল পরিস্থিতিতেও বৃদ্ধির হার ৭-৮ শতাংশের মধ্যে রেখেছিল ইউপিএ। এখন অপরিশোধিত তেলের দাম কম আর বিশ্ব পরিস্থিতিতে বদল এলেও অর্থনীতি ধাক্কা খাচ্ছে। ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার উপরে মানুষের ভরসা উঠে যাচ্ছে। নীরব কেলেঙ্কারির জন্যও মোদীকে দায়ী করেন মনমোহন। বলেন, ‘‘দাভোসে প্রধানমন্ত্রীর ছায়াতেই ছিলেন নীরব। ক’দিন পরেই পালান তিনি।’’ মনমোহনের অভিযোগ, বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিকে পরিকল্পিত ভাবে শেষ করছেন মোদী।
আজ রাহুল ছিলেন আরও আক্রমণাত্মক। কোলার ও বেঙ্গালুরুর সভায় প্রযুক্তির কথা টেনেই তাঁর খোঁচা— ‘‘মোবাইলের তিনটি মোড। ওয়ার্ক, স্পিকার আর এয়ারপ্লেন মোড। মোদীজি শুধু স্পিকার আর এয়ারপ্লেন মোডে। ওয়ার্ক মোডে কখনওই যান না।’’ পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কোলারে সাইকেল মিছিল করেন রাহুল।