—প্রতীকী ছবি।
ফের শিরোনামে কর্নাটকের বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহা। তবে এ বারে ভাইয়ের দৌলতে। কয়েক কোটি টাকা মূল্যের ১২৬টি গাছ রাতারাতি কেটে সাফ করে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হয়ে আপাতত কর্নাটকের বন দফতরের হেফাজতে রয়েছেন সাংসদের ভাই বিক্রম সিমহা।
কর্নাটকের হাসন জেলার বেলুর তালুকের নন্দাগোন্ডানাহাল্লিতে ১২৬টি মূল্যবান গাছ কেটে নেওয়ার বিষয়টি দিন কয়েক আগে নজরে আসে বন দফতরের। বেলুরের তহশিলদারের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে বিজেপি সাংসদের ভাইয়ের যোগ মেলে। তাঁকে ডেকে পাঠালে প্রথম দফায় তিনি হাজিরা দিলেও পরে উধাও হয়ে যান। গাছ কাটার বিষয়টি নিয়ে তদন্তকারী দল তাঁর বাড়িতে গেলেও সেখানে তাঁকে পাওয়া যায়নি। এর পরেই রাজ্য পুলিশের একটি বিশেষ দল ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে বেঙ্গালুরুর কাছে তাঁর সন্ধান পায়। সেখান থেকে গ্রেফতার করে বিজেপি সাংসদের ভাইকে তুলে দেওয়া হয় বন দফতরের হাতে।
চলতি ডিসেম্বরেই সংসদে হাঙ্গামার পরে খবরের শিরোনামে উঠে আসেন বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহা। তদন্তে জানা যায়, তাঁর দেওয়া পাশ নিয়েই সংসদে প্রবেশাধিকার পেয়েছিলেন সে দিনের হাঙ্গামাকারীদের মধ্যে এক জন। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে জড়িত সন্দেহে অনেককে গ্রেফতার করা হলেও বিজেপি সাংসদ প্রতাপকে অবশ্য এখনও ছোঁয়নি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা তদন্তকারী সংস্থাগুলি। কিন্তু মূল্যবান গাছ কেটে পাচারের অভিযোগে ভাই গ্রেফতার হওয়ায় ফের এই বিজেপি সাংসদকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। সাংসদকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জবাব এড়িয়ে অন্য একটি বিষয় নিয়ে রাজ্যের কংগ্রেস সরকারকে নিশানা করেন।