বিপুল মাদক-সহ ধৃত ছয় পাকিস্তানি নাগরিক। টুইটার থেকে নেওয়া।
সম্প্রতি গুজরাত উপকূল থেকে একটি পাকিস্তানি মৎস্যজীবীদের নৌকা আটক করে উপকূল রক্ষী বাহিনী। কিন্তু উপকূল রক্ষী বাহিনীর সন্দেহ ছিল, নৌকায় রয়েছে অন্য কিছু। তল্লাশিতে উদ্ধার হয় নৌকাবোঝাই মাদক। যার বাজারমূল্য অন্তত ৪০০ কোটি টাকা। এ বার আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল। ধৃত ছয় ‘মৎস্যজীবী’-এর মধ্যে রয়েছে করাচির ড্রাগ মাফিয়ার ছেলে। মাদক নিয়ে পঞ্জাব যাওয়ার কথা ছিল।
গত ১৯ ডিসেম্বর গুজরাত উপকূলে ‘অল হুসেইনি’ নামে একটি মাছ ধরার নৌকা আটক করে উপকূল রক্ষী বাহিনী। তল্লাশিতে পাওয়া যায়, নৌকায় লুকনো ৭৭ কেজি হেরোইন। পুলিশ সূত্রে খবর, এর বাজার মূল্য ৪০০ কোটি টাকার বেশি। গ্রেফতার করা হয় ৬ মৎস্যজীবীকে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, তাদেরই একজন করাচির কুখ্যাত ড্রাগ মাফিয়া হাজি হাসানের ছেলে সাজিদ।
তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, আরও জিজ্ঞাসাবাদে সাজিদ জানায়, ওই মাদক পঞ্জাবে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। বর্তমানে রাজস্থানের জেলেবন্দি পঞ্জাবের গ্যাংস্টার মাদকের বরাত দিয়েছিল। ঘটনাচক্রে আর কয়েক মাসের মধ্যেই পঞ্জাবে বিধানসভা ভোট। তার ঠিক আগে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।