গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
রাফাল নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন তোপ দাগছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। আজ মঙ্গলবারও প্রধানমন্ত্রী একটি মেল দেখিয়ে কাঠগড়ায় তুলেছেন রিলায়েন্স কমিউনিকেশন(আর কম) কর্ণধারকে। সেই অনিল অম্বানীর হয়েই সু্প্রিম কোর্টে সওয়াল করলেন কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল। আর তাই নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ট্রোলড কংগ্রেসের এই আইনজীবী সাংসদ। ধেয়ে এসেছে নেটিজেনদের কটাক্ষ, ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপ।
কেউ লিখেছেন, ‘কপিল সিব্বলের ডাবল ইনকাম। সুপ্রিম কোর্টে অনিল অম্বানীর হয়ে দাঁড়িয়ে প্রচুর ফিজ নেন। আবার বাইরে বেরিয়ে সেই অনিলের বিরুদ্ধেই রাফাল নিয়ে আক্রমণ করে কংগ্রেসের থেকেও রোজগার করছেন।’ এক জনের খোঁচা, ‘এই চিত্রনাট্যের কপি যদি পাল্টে যায়?’ অন্য এক নেটিজেনের উপদেশ, ‘সিব্বলের উচিত পেশা এবং রাজনীতিকে আলাদা রাখা।’
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের একটি মামলায়। সুইডিশ টেলি-কমিউনিকেশন সংস্থা এরিকসনের একটি মামলায় এ দিন হাজিরা দেন আর কম চেয়ারম্যান অনিল অম্বানী। এরিকসনের অভিযোগ ছিল, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরও তাদের সংস্থার পাওনা ৫৫০ কোটি টাকা মেটাচ্ছে না আর কম। ফলে আদালত অবমাননা করেছেন আর কম কর্ণধার। এই মামলায় আদালতে হাজির হয়ে অনিলের আইনজীবীদের যুক্তি, আর কম ইতিমধ্যেই দেউলিয়া ঘোষণার আর্জি জানিয়েছে। সেই মামলা বিচারাধীন। ফলে আর্থিক সঙ্কটের কারণেই পাওনা মেটাতে পারেনি আর কম।
আর কমের এই আইনজীবীদের মধ্যেই অন্যতম ছিলেন কপিল সিব্বল। আর তাতেই নেটিজেনরা পেয়ে যান ‘চর্চা’র বিষয়। টুইটারে এ নিয়ে একের পর এক বাক্যবাণ ধেয়ে আসে সিবলের বিরুদ্ধে। রাহুল গাঁধী এ দিন যে ই-মেলের প্রসঙ্গ তুলে অনিল অম্বানীকে আক্রমণ করেছেন, সেই মেলও সিব্বল শেয়ার করেছেন টুইটারে। সেই বিষয়টি তুলে ধরেও সিবলকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি নেটিজেনরা।
আরও পডু়ন: রাফাল চুক্তির আগেই ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন অনিল অম্বানী: রিপোর্ট
আরও পড়ুন: রাফাল চুক্তিতে অম্বানীদের দালালের ভূমিকা পালন করেছেন মোদী, ফের আক্রমণ রাহুলের
ব্যক্তিগত পেশা এবং রাজনৈতিক পরিধিতে উল্টো বা ভিন্ন অবস্থানের নজির অবশ্য এই প্রথম নয়। বরং উদাহরণ রয়েছে প্রচুর। এ রাজ্যেও সারদা কাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টে তৃণমূল নেতা মদন মিত্রের জামিনের শুনানিতে দিল্লি থেকে উড়ে আসেন কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল। সম্প্রতি রাজীব কুমারের বাড়িতে হানা দেওয়ায় সিবিআই আধিকারিকদের হেনস্থা মামলাতেও রাজ্য সরকারের আইনজীবী ছিলেন কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি।