—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ধুমধাম করে বিয়ে দিয়ে চোখের জলে কন্যাকে বিদায় দেওয়ার রীতি রয়েছে ভারতে। সেই মেয়েরই বিচ্ছেদ হলে তা পাঁচকান হতে দিতে চান না অনেকেই। কিন্তু এ বার ঢাকঢোল পিটিয়ে বিবাহবিচ্ছিন্না কন্যাকে ঘরে ফিরিয়ে তাক লাগালেন উত্তরপ্রদেশের কানপুরের এক ব্যক্তি। পেশায় সরকারি কর্মী ওই ব্যক্তির নাম অনিল কুমার। তাঁর দাবি, মেয়েকে যে ভাবে বিদায় দিয়েছিলেন, সে ভাবেই ঘরে ফেরাতে চান তিনি। মেয়ে যাতে মাথা উঁচু করে বাকি জীবন কাটাতে পারেন, তার জন্যই তিনি এই আয়োজন করেছেন বলেও অনিল জানিয়েছেন। বাবা-মায়ের এই পদক্ষেপে খুশি কন্যাও।
অনিলের কন্যা উরভি নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরের ইঞ্জিনিয়ার। ২০১৬ সালে পেশায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। এর পর থেকে স্বামীর সঙ্গে দিল্লিতেই থাকতেন তিনি। একটি কন্যাও রয়েছে তাঁর। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই যৌতুক নিয়ে উরভির উপর নির্যাতন চালাতেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। এর পর তিনি বিচ্ছেদ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিবাহবিচ্ছেদ মঞ্জুর করেছে আদালত। এর পরেই ধুমধাম করে তাঁকে ঘরে ফিরিয়ে এনেছেন অনিল এবং তাঁর স্ত্রী কুসুমলতা।
এই প্রসঙ্গে অনিল বলেন, ‘‘আমরা মেয়েকে ফিরিয়ে এনেছি। যে ভাবে ওকে বিয়ের পর বিদায় জানিয়েছিলাম, ঠিক সে ভাবেই বাড়িতে ফেরালাম। আমরা চাই, ও মাথা তুলে বাঁচুক।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মেয়েকে বাড়ি ফিরিয়ে আনার সময় আমি ব্যান্ড পার্টির ব্যবস্থা করেছিলাম। সমাজকে একটি ইতিবাচক বার্তা দেওয়াও আমার উদ্দেশ্য। বিচ্ছেদের পর মেয়েদের উপেক্ষা করার পরিবর্তে তাদের নতুন করে জীবন শুরুর জন্য উৎসাহিত করা উচিত ৷’’
উরভির মা কুসুমলতা বলেন, ‘‘আমি আমার মেয়ে এবং নাতনির সঙ্গে থাকার জন্য মুখিয়ে আছি। খুবই ভাল লাগছে।’’
প্রতিবেশী ইন্দ্রভান সিংহের কথায়, ‘‘প্রথম দিকে আমরা ভেবেছিলাম, উরভি দ্বিতীয় বার বিয়ে করছে। কিন্তু যখন আসল কারণ বুঝলাম, তখন অভিভূত হয়ে গিয়েছি।’’