প্রতীকী ছবি।
ছাত্রকে খুন করার অভিযোগ উঠল তারই শিক্ষিকার প্রেমিকের বিরুদ্ধে। শুধু খুন করাই নয়, ছাত্রকে অপহরণ করার নাটক করে তার বাড়িতে মুক্তিপণের দাবি করেন ওই শিক্ষিকার প্রেমিক। উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে খবর, বছর সতেরোর ওই ছাত্র দশম শ্রেণিতে পড়ত। তাঁর গৃহশিক্ষকের নাম রচিতা। শিক্ষিকা ডাকছেন, তাই এখনই তাকে যেতে হবে, ছাত্রকে এই বার্তা দিয়েছিলেন শিক্ষিকার প্রেমিক প্রভাত। তাঁর কথামতো বাড়ি থেকে বেরোয় ছাত্র। রাস্তাতেই অপেক্ষা করছিলেন প্রভাত। তার সঙ্গে দেখা করে সে। তার পর দু’জনে মিলে শিক্ষিকার বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন।
কিন্তু শিক্ষিকার বাড়িতে না নিয়ে গিয়ে ছাত্রকে অন্য জায়গায় নিয়ে যান প্রভাত। সেখানে একটি ফাঁকা ঘরে নিয়ে গিয়ে ছাত্রকে খুন করেন। তার পর যে স্কুটারে চেপে ছাত্রটি এসেছিল, সেই স্কুটারটিকে অন্যত্র রেখে দিয়ে আসেন প্রভাত। ছাত্র বাড়িতে না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তার পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা শিক্ষিকার বাড়িতেও যান। কিন্তু সেখানেও ছাত্রের কোনও হদিস মেলায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে ছাত্রের পরিবার। ছাত্রকে যখন সকলে খুঁজতে ব্যস্ত, সেই সময় মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে ছাত্রের পরিবারের কাছে। মোটা অঙ্কের দাবি জানানো হয়।
তার পরই তারা পুলিশের দ্বারস্থ হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে। ছাত্রকে কারও সঙ্গে দেখা গিয়েছে কি না, শেষ কোথায় দেখা গিয়েছিল ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়েই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজে এক ব্যক্তির হদিস পায়। সেই ফুটেজে এক ব্যক্তির সঙ্গে ছাত্রটি যাচ্ছে, সেই দৃশ্য ধরা পড়ে। ওই ফুটেজের মাধ্যমেই সন্দেহভাজন ব্যক্তির খোঁজ শুরু করে পুলিশ। তার পরই খোঁজ মেলে প্রভাতের। ঘটনাচক্রে, তারা জানতে পারে ছাত্রের শিক্ষিকার প্রেমিক ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তি। তার পরই তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই খুনের কথা স্বীকার করেন। তার পরই গ্রেফতার করা হয় প্রভাতকে। কিন্তু ছাত্রকে কী কারণে খুন করা হল, সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়।