ছবি: পিটিআই।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের নয়া শিক্ষানীতিতে হিন্দি ও সংস্কৃত চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলে আগে থেকেই সরব হয়েছিল ডিএমকে-সহ তামিলনাড়ুর অধিকাংশ রাজনৈতিক দল। এ বার হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার অন্য অভিযোগ তুলে সরব হলেন ডিএমকে নেত্রী ও রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত এম করুণানিধির কন্যা কানিমোঝি। তাঁর অভিযোগ, বিমান ধরতে চেন্নাই বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময়ে হিন্দি বলতে না পারায় আধাসামরিক বাহিনী সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের (সিআইএসএফ) এক আধিকারিক তাঁর ভারতীয়ত্ব নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। বিতর্কের মুখে বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সিআইএসএফ।
টুইটারে ডিএমকে সাংসদ কানিমোঝি আজ লিখেছেন, ‘‘বিমানবন্দরে সিআইএসএফের এক আধিকারিককে বলেছিলাম, আপনি ইংরেজি অথবা তামিলে কথা বলুন। আমি হিন্দি জানি না। তখন ওই আধিকারিক আমার থেকে জানতে চান, আমি ভারতীয় কি না!’’ এ সঙ্গেই কানিমোঝির মন্তব্য, ‘‘হিন্দি না জানলে কেউ ভারতীয় হতে পারেন না, এমন ব্যাপারটা কবে থেকে হল, সেটা জানতে চাইছি আমি।’’ এই অভিযোগের পরেই ডিএমকে সাংসদের সমর্থনে দাঁড়ান শিবগঙ্গার কংগ্রেসি সাংসদ কার্তি চিদম্বরম। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ জানান তিনি। এ দিন বিজেপি নেতা বি এল সন্তোষ টুইট করেন, ‘‘বিধানসভা ভোট আট মাস দূরে। প্রচার শুরু হয়ে গেল।’’ কানিমোঝির উদ্দেশেই তাঁর এই কটাক্ষ বলে মনে করা হচ্ছে।
সিআইএসএফের তরফে টুইট করে কানিমোঝির থেকে বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়েছে। বলা হয়, সাংসদের অস্বস্তির বিষয়টি তারা বুঝতে পারছেন। কবে, কোন সময়ে, কোন বিমানবন্দরে সফর করার সময়ে এমন ঘটনা ঘটেছে, তা-ও জানতে চাওয়া হয়। এ ব্যাপারে সিআইএসএফের তরফে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, একটি বিশেষ ভাষার উপর জোর দেওয়ার নীতি তাদের নেই।
দেশের বিমানবন্দরগুলিতে সুরক্ষার দায়িত্বে সিআইএসএফ। সূত্রের খবর, দিল্লির বিমান ধরতে চেন্নাই বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন কানিমোঝি। তখনই ওই ঘটনা।