ফাইল ছবি
স্পর্শকাতর মামলার ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিন ও সমাজমাধ্যমের উপরে নিয়ন্ত্রণ চেয়ে আগেই সরব হয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা। আজ মুখ খুললেন খোদ প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণা।
আজ রাঁচীতে এক অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘টিভি চ্যানেলের বিতর্ক সভায় বসা একপেশে আদালত (ক্যাঙ্গারু কোর্ট) ও সমাজমাধ্যম দেশকে পিছন দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি না জেনে কেবল নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যপূরণের জন্য বিতর্ক গণতন্ত্রের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াচ্ছে।’’ প্রধান বিচারপতির মতে, ‘‘সমাজমাধ্যমে বিচারপতিদের বিরুদ্ধে প্রচার চালানো হচ্ছে।’’ তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘বিচারপতিরা হয়তো তখনই জবাব দিচ্ছেন না। কিন্তু সেটাকে দুর্বলতা বা অসহায়ত্ব ভাববেন না।’’ তাঁর মতে, ‘‘নতুন মাধ্যমের হাতিয়ারগুলির মাধ্যমে যে কোনও বিষয় নিয়ে চড়া সুরে প্রচার চালানো যায়। কিন্তু যাঁরা নতুন মাধ্যম ব্যবহার করছেন তাঁরা ঠিক ও ভুল, ভাল ও মন্দ, আসল ও ভুয়ো বিচার করতে পারেন না। এমন সব বিষয়ে টিভি চ্যানেলের বিতর্ক সভায় একপেশে আদালত চালানো হচ্ছে যেগুলি নিয়ে রায় দেওয়া অভিজ্ঞ বিচারপতিদের পক্ষেও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।’’
সাসপেন্ড হওয়া বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মার মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তার জেরে সমাজমাধ্যমে বিচারপতিদের নিশানা করা হয় বলে অভিযোগ। সেই প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মত আইনজীবীদের।
প্রধান বিচারপতির মন্তব্যের পরে সংবাদমাধ্যমের ‘আত্মসমীক্ষা’ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।