মুম্বই-অগ্নিকাণ্ড: কনস্টেবলের সাহসে মৃত্যু থামল ১৪-য়

মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারত আরও। কিন্তু তা আটকে দিয়েছিলেন ওরলি থানার কনস্টেবল সুদর্শন শিন্দে। নিজের জীবনের পরোয়া না করে সাহসী মানুষটি ঝাঁপিয়ে পড়েন রেস্তরাঁর আগুনে। বেরিয়ে আসতে সাহায্য করেছেন বহু মানুষকে। কাঁধে-পিঠে করে বের করে এনেছেন বহু জখমকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:২৪
Share:

কুর্নিশ: সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে সুদর্শনের এই ছবিটিই।

চার দিকে দাউদাউ আগুন। গোটা রেস্তরাঁ ঢেকে গিয়েছে ধোঁয়ায়। আতঙ্কে দিশাহারা মানুষজন। আর্তনাদ, হুড়োহুড়ি, ধাক্কাধাক্কি। তিলতিল করে এগিয়ে আসছে মৃত্যু। তখনই হাজির হলেন তিনি। বহু মৃত্যুপথযাত্রীকে তিনি পৌঁছে দিলেন জীবনের ঠিকানায়।

Advertisement

গত ২৯ ডিসেম্বর রাতে মুম্বইয়ের লোয়ার প্যারেল এলাকার কমলা মিলস কম্পাউডের রুফটপ রেস্তরাঁ ‘ওয়ান অ্যাবাভ’-এ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ গিয়েছে ১৪ জনের। জখম ২১ জন। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারত আরও। কিন্তু তা আটকে দিয়েছিলেন ওরলি থানার কনস্টেবল সুদর্শন শিন্দে। নিজের জীবনের পরোয়া না করে সাহসী মানুষটি ঝাঁপিয়ে পড়েন রেস্তরাঁর আগুনে। বেরিয়ে আসতে সাহায্য করেছেন বহু মানুষকে। কাঁধে-পিঠে করে বের করে এনেছেন বহু জখমকে। সুদর্শনের এই উদ্ধারকাজের ছবি ‘ভাইরাল’ হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর তার পর থেকেই তিনি মুম্বইয়ের নয়া ‘হিরো’। সাহসিকতার জন্য সোমবার সন্ধ্যায় সুদর্শনকে সম্মানিত করেন মুম্বইয়ের মেয়র।

ভয়ঙ্কর সেই রাতের কথা বলতে গিয়ে সুদর্শন বলেন, ‘‘আমি দমকলের কাজে সাহায্য করতে চেয়েছিলাম। কী ভাবে ভিতরে আটকে পড়া মানুষগুলোকে বাঁচানো যায়, সেটাই মাথায় ঘুরছিল। আমি দৌড়ে রেস্তরাঁর সিঁড়ি দিয়ে উঠে পড়ি। সিঁড়ি দিয়ে তখন স্ট্রেচার নিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না। কাঁধে করেই নামিয়ে আনি।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: বর্ষবরণের উৎসব বদলে গেল শোকে

আজ রেস্তরাঁ-পাবটির ম্যানেজার গিবসন লোপেজ ও কেভিন বাওয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পানশালার তিন মালিক জিগর সিঙ্ঘভি, হিতেশ সিঙ্ঘভি এবং অভিজিৎ মনকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। তিন জনেই পলাতক। জিগর ও হিতেশকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে রবিবার তাঁদের দুই আত্মীয় রাকেশ সিঙ্ঘভি ও আদিত্য সিঙ্ঘভিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে দু’জনেই জামিনে মুক্ত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement